১৭ বছর ধরে কাবায় সেবায় আশরাফ-ফাতিমা দম্পতি

প্রায় ১৭ বছর ধরে কাবা শরিফে আসা হাজি, ওমরাহ পালনকারী, সাধারণ মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সেবা করছেন আশরাফ ও ফাতিমা দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী মিলে এমন মহান সেবা করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যমান মনে করেন শ্রীলঙ্কান এই দম্পতি। এমন কাজ করতে পেরে তারা খুবই তৃপ্ত।

 

আশরাফ এবং ফাতিমা পবিত্র দুই মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির অধীনে ১২ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে দুইজন, যারা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে (কাবা শরিফ) কাজ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে ইসলামের পবিত্রতম স্থানে সেবা করার সম্মান পেয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন।

 

ওই দম্পতি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি এমন মহান কাজ করতে পারা সৃষ্টিকর্তার রহমত। তারা হারাম শরিফে কাজ করার সময় অনেক অবিস্মরণীয় গল্প এবং অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন।

 

ফাতিমা জানান, ১৭ বছর আগে ফাতিমা গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি মহিলাদের প্রার্থনার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর পর স্বামী আশরাফকে এখানে কাজ দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্সির কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে কাবা প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ফাতিমা জানান, ‘হারাম শরিফে চার বছর একা কাজ করার পর প্রেসিডেন্সির কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে আমাকে শ্রীলঙ্কা থেকে আমার স্বামীকে কাজ করতে আনতে। প্রেসিডেন্সি আমার অনুরোধের অনুমোদন দিয়েছে এবং অবশেষে আশরাফকে গ্র্যান্ড মসজিদে একজন কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।’

 

আশরাফ বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়। ফাতিমা এবং আমি একই শিফটে কাজ করি এবং একে অপরকে সহায়তা করি। আমরা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ওমরাহ পালন করি। এমন কাজ করে নিজেদের ধন্য মনে করি।’

সূত্র: সৌদি গেজেট

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন

» পুলিশের দুর্বলতায় ক্রমে বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড

» পুলিশকে সহযোগিতা করুন, এখন দরকার স্থিতিশীলতা: মাহফুজ আলম

» ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় হামলায় ৭ পুলিশ আহত, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ

» ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় জেনারেল ওসমানীর নাম বাদ: প্রেস উইং

» আজ বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

» ইসলামপুরে গ্রাম পুলিশরা পেল রেইনকোর্ট 

» ইসলামপুরে চিনাডুলী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল

» বড়াইগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ মজুদ, জরিমানা আদায়!

» স্থানীয় প্ল্যাটফর্মে ব্লকচেইন-ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ এলসি কার্যকর করেছে প্রাইম ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১৭ বছর ধরে কাবায় সেবায় আশরাফ-ফাতিমা দম্পতি

প্রায় ১৭ বছর ধরে কাবা শরিফে আসা হাজি, ওমরাহ পালনকারী, সাধারণ মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সেবা করছেন আশরাফ ও ফাতিমা দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী মিলে এমন মহান সেবা করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যমান মনে করেন শ্রীলঙ্কান এই দম্পতি। এমন কাজ করতে পেরে তারা খুবই তৃপ্ত।

 

আশরাফ এবং ফাতিমা পবিত্র দুই মসজিদ (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী) বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির অধীনে ১২ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে দুইজন, যারা মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে (কাবা শরিফ) কাজ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে ইসলামের পবিত্রতম স্থানে সেবা করার সম্মান পেয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করেন।

 

ওই দম্পতি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি এমন মহান কাজ করতে পারা সৃষ্টিকর্তার রহমত। তারা হারাম শরিফে কাজ করার সময় অনেক অবিস্মরণীয় গল্প এবং অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন।

 

ফাতিমা জানান, ১৭ বছর আগে ফাতিমা গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করতে এসেছিলেন। তিনি মহিলাদের প্রার্থনার জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর পর স্বামী আশরাফকে এখানে কাজ দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্সির কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে কাবা প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ফাতিমা জানান, ‘হারাম শরিফে চার বছর একা কাজ করার পর প্রেসিডেন্সির কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে আমাকে শ্রীলঙ্কা থেকে আমার স্বামীকে কাজ করতে আনতে। প্রেসিডেন্সি আমার অনুরোধের অনুমোদন দিয়েছে এবং অবশেষে আশরাফকে গ্র্যান্ড মসজিদে একজন কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।’

 

আশরাফ বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে কাজ করা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের বিষয়। ফাতিমা এবং আমি একই শিফটে কাজ করি এবং একে অপরকে সহায়তা করি। আমরা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ওমরাহ পালন করি। এমন কাজ করে নিজেদের ধন্য মনে করি।’

সূত্র: সৌদি গেজেট

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com