ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। ২০১৫ সালের পর আবার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করছেন তিনি। মাঝের বছরগুলোয় খালেদা জিয়া কিছুদিন কারাগারে এবং পরে বাসায় অন্তরীণ ছিলেন।
দলের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। ছিলেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানরাও। কোকোর মৃত্যুর পর সেটি ছিল জিয়া পরিবারের জন্য এক দুঃসহ স্মৃতিময় ঈদ। গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারি মাসে লন্ডনে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাসায় ফেরার পর গত দুই মাসে খালেদা জিয়াকে আর হাসপাতালে নিতে হয়নি। কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হলে দ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বাসায় গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব কমার্স অ্যান্ড আইটির কর্ণধার নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন, ১৮ বছরে খালেদা জিয়ার মতোন একজন নেত্রী এবারের মতো মাত্র তিনবার পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারছেন, সেটিও সম্ভব হয়েছে উনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসতে পারায়।
খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবার কোনও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, তারা বড় পরিসরের হল পাচ্ছেন না। হলের ব্যবস্থা করতে পারলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতির ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেছে। ঈদের পরই দেশে ফেরার কথা বললেও ঠিক কবে ফিরতে পারেন, সেটি এপ্রিলের কোন সপ্তাহে হতে পারে সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।