হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ইফতারির পসরা নিয়ে বসে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি থাকে তাদের। তবে গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে সপরিবারে বা বন্ধুরা মিলে বাইরে সেহরি খাওয়ার প্রবণতা বেশ চোখে পড়ে। আবার অনেকে সেহরি পার্টিও করে থাকেন। এজন্য ইফতারের পাশাপাশি সেহরিতেও নানা খাবারের আয়োজন করে থাকে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো। এবছরও সেহরির আয়োজনে বেশ ভালো প্রস্তুতি রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর। তবে রোববার প্রথম সেহরিতে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক অনেক কম। তবে দিন দিন মানুষের ভিড় বাড়বে বলে জানান হোটেল-রেস্তোরাঁ সংশ্লিষ্টরা।

 

রোজার প্রথম সেহরিতে রাজধানীর পুরান ঢাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বংশাল, নাজিরা বাজার, ঠাটারিবাজার, হাটখোলা রোড, নর্থ সাউথ রোড এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সেহরির জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিকরা। বংশাল এলাকায় গলির ছোট ছোট রেস্তোরাঁগুলোতে জায়গা কম থাকায় রাস্তায় চেয়ার-টেবিল বসানো হয়েছে। সেখানে কেউ ভেতরে গিয়ে বসছেন, আবার কেউ বসেছেন বাইরে। তবে খুব বেশি ব্যস্ততা ছিল না রেস্তোরাঁগুলোতে।

নাজিরা বাজারে গিয়েও দেখা যায় রেস্তোঁরা মালিক-কর্মচারীদের তেমন ব্যস্ততা নেই। যেখানে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা আছে, সেখানে আছেন ৩০ থেকে ৪০ জন।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

একই চিত্র দেখা যায়, পুরান ঢাকার ঠাটারিবাজারে অবস্থিত স্টার রেস্টুরেন্টে। বাইরে কোনো কোলাহল নেই। নিচতলাও পুরোটা ফাঁকা। দ্বিতীয়তলায় গিয়ে দেখা যায়, একপাশে হিসাবরক্ষক আর অল্প কিছু মানুষ সেহরি করছেন।

 

এসময় কথা হয় চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসার কাজে ঢাকায় আসা মো. শাহিনুল ইসলামের সঙ্গে। পুরান ঢাকায় এসে সেহরি খাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় এসেছি। কাজ শেষ হয়নি, তাই থাকতে হচ্ছে। রোজা যেহেতু রাখি, সেহরি করার জন্য এই হোটেলেই আসলাম।

ওয়ারী থেকে আসা মো. পাভেল বলেন, রমজানে এবারই প্রথম ঢাকায় আছি। ব্যাচেলর থাকি, তাই পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতেই হয়তো এবার সেহরি করতে হবে।

 

স্টার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১৫ রোজার পর সেহরিতে চাপটা বেশি থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার রাতে। দুই বছর পর সেহরিতে হোটেল খোলা হয়েছে। তবে প্রথমদিন লোকজন কিছুটা কমই মনে হচ্ছে। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে আগের সেই অবস্থা ফিরবে কি না।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

বোখারী রেস্তোরাঁর মালিক সফিকুল আলমও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, প্রথমদিন লোকজন একটু কম। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে কেমন লোকজন আসে। প্রথম রোজায় সবাই পরিবারের সঙ্গেই সেহরিটা করতে চায়।

 

এদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি খাওয়া মানুষের ভিড় কম থাকলেও ওই সময়ে বাইরে স্থানীয়দের বেশ উপস্থিতি ছিল। তাদেরেই একজন শাহীন খান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাসায় সেহরি খেয়ে বের হলাম। এখানে এসে এক গ্লাস দুধ খেলাম। সারাদিন যেন পার করা যায় এবং কাজ করতে পারি তার জন্য দুধটা বেশ উপকারী।

 

রবিউল আওয়াল নামে একজন বলেন, সেহরি শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। সারাদিন পরিশ্রম করার সময় যেন একটু শক্তি পাই, সেজন্য আখের রস খেলাম।

 

তায়্যেবাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’র ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল বলেন, লোকজন খুবই কম। যেমন আশা করেছিলাম আজ তেমন লোক ছিল না। তবে এই অবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা করছি।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

» রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো : জামায়াত আমির

» গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

» ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

» জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : যুব ও ক্রীড়া উ পদেষ্টা

» ফেসবুক-ইউটিউব-গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রচারণা নিষিদ্ধ

» ওয়ানশুটার গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক

» রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ

» নিজের আকিকা করা যাবে?

» যুবককে কুপিয়ে হত্যা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ইফতারির পসরা নিয়ে বসে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি থাকে তাদের। তবে গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে সপরিবারে বা বন্ধুরা মিলে বাইরে সেহরি খাওয়ার প্রবণতা বেশ চোখে পড়ে। আবার অনেকে সেহরি পার্টিও করে থাকেন। এজন্য ইফতারের পাশাপাশি সেহরিতেও নানা খাবারের আয়োজন করে থাকে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো। এবছরও সেহরির আয়োজনে বেশ ভালো প্রস্তুতি রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর। তবে রোববার প্রথম সেহরিতে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক অনেক কম। তবে দিন দিন মানুষের ভিড় বাড়বে বলে জানান হোটেল-রেস্তোরাঁ সংশ্লিষ্টরা।

 

রোজার প্রথম সেহরিতে রাজধানীর পুরান ঢাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বংশাল, নাজিরা বাজার, ঠাটারিবাজার, হাটখোলা রোড, নর্থ সাউথ রোড এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সেহরির জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিকরা। বংশাল এলাকায় গলির ছোট ছোট রেস্তোরাঁগুলোতে জায়গা কম থাকায় রাস্তায় চেয়ার-টেবিল বসানো হয়েছে। সেখানে কেউ ভেতরে গিয়ে বসছেন, আবার কেউ বসেছেন বাইরে। তবে খুব বেশি ব্যস্ততা ছিল না রেস্তোরাঁগুলোতে।

নাজিরা বাজারে গিয়েও দেখা যায় রেস্তোঁরা মালিক-কর্মচারীদের তেমন ব্যস্ততা নেই। যেখানে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষের বসার ব্যবস্থা আছে, সেখানে আছেন ৩০ থেকে ৪০ জন।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

একই চিত্র দেখা যায়, পুরান ঢাকার ঠাটারিবাজারে অবস্থিত স্টার রেস্টুরেন্টে। বাইরে কোনো কোলাহল নেই। নিচতলাও পুরোটা ফাঁকা। দ্বিতীয়তলায় গিয়ে দেখা যায়, একপাশে হিসাবরক্ষক আর অল্প কিছু মানুষ সেহরি করছেন।

 

এসময় কথা হয় চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসার কাজে ঢাকায় আসা মো. শাহিনুল ইসলামের সঙ্গে। পুরান ঢাকায় এসে সেহরি খাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় এসেছি। কাজ শেষ হয়নি, তাই থাকতে হচ্ছে। রোজা যেহেতু রাখি, সেহরি করার জন্য এই হোটেলেই আসলাম।

ওয়ারী থেকে আসা মো. পাভেল বলেন, রমজানে এবারই প্রথম ঢাকায় আছি। ব্যাচেলর থাকি, তাই পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতেই হয়তো এবার সেহরি করতে হবে।

 

স্টার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১৫ রোজার পর সেহরিতে চাপটা বেশি থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার রাতে। দুই বছর পর সেহরিতে হোটেল খোলা হয়েছে। তবে প্রথমদিন লোকজন কিছুটা কমই মনে হচ্ছে। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে আগের সেই অবস্থা ফিরবে কি না।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি: প্রস্তুতি জমজমাট, ভিড় কম

বোখারী রেস্তোরাঁর মালিক সফিকুল আলমও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, প্রথমদিন লোকজন একটু কম। কয়েকদিন গেলে বোঝা যাবে কেমন লোকজন আসে। প্রথম রোজায় সবাই পরিবারের সঙ্গেই সেহরিটা করতে চায়।

 

এদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি খাওয়া মানুষের ভিড় কম থাকলেও ওই সময়ে বাইরে স্থানীয়দের বেশ উপস্থিতি ছিল। তাদেরেই একজন শাহীন খান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাসায় সেহরি খেয়ে বের হলাম। এখানে এসে এক গ্লাস দুধ খেলাম। সারাদিন যেন পার করা যায় এবং কাজ করতে পারি তার জন্য দুধটা বেশ উপকারী।

 

রবিউল আওয়াল নামে একজন বলেন, সেহরি শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে। সারাদিন পরিশ্রম করার সময় যেন একটু শক্তি পাই, সেজন্য আখের রস খেলাম।

 

তায়্যেবাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’র ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল বলেন, লোকজন খুবই কম। যেমন আশা করেছিলাম আজ তেমন লোক ছিল না। তবে এই অবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা করছি।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com