হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং: সন্তানের জন্য বিরক্তিকর

ইংরেজিতে হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলে একটা শব্দ আছে, যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায় সন্তানের ঘাড়ে সারাক্ষণ শ্বাস ফেলা বা তার পিছে লেগে থাকা। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই কিন্তু তার স্কুল বা পড়াশোনা সংক্রান্ত আলোচনাও নয়। পড়ায় অসুবিধা হলে সাহায্য অবশ্যই করবেন, কিন্তু তার হোমওয়ার্ক নিয়ে সারাক্ষণ আপনি মাথাব্যথা করবেন না। বরং এই অবসরে সন্তানকে কিছু বাড়ির কাজ শেখান।

 

বিশেষ করে যাদের বয়স দশ বছর বয়সের বেশি, তারা স্বচ্ছন্দে রান্না, বাসন মাজা বা ঘর গোছানোর কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিন, গেম খেলুন, ভালো সিনেমা দেখুন। ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টনও খেলা যায়।

মনে রাখতে হবে, আপনি যা যা বলছেন, আপনার সন্তানের কাছে তার সবটা যুক্তিগ্রাহ্য বলে না-ও মনে হতে পারে। এতেই রেগে যাওয়ার কিছু নেই, মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরি হলে বরং তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সন্তানের কথাটাও মন দিয়ে শুনতে হবে। দরকারে মেনেও নিতে হতে পারে। শিশু মানেই যে সে ভুল বলছে, তেমনটা না-ও হতে পারে।

 

নিজের না পাওয়া বা ব্যক্তিগত আক্ষেপের দায় সন্তানের ওপর চাপাবেন না। এতে ছোট্ট মানুষটির চিন্তার জগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাকে তার কোনগুলি গুণ, তা বুঝিয়ে দিতে পারেন। দোষ করলে সেটাও বলুন খোলা মনে। নিজের কোনো দুর্বলতা থাকলে সেটাও স্বীকার করতে লজ্জা পাবেন না। এসব মেনে চললে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

 

কখনও অন্য কারো সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না। প্রতিটি শিশুই স্পেশাল। আপনার সন্তানের গুণগুলি খুঁজে বের করার ওপর জোর দিন। সবচেয়ে বড়ো কথা, বাচ্চাকে নিজের মতো খানিকটা সময় কাটানোর সুযোগ দিন।

মনোবিদদের পরামর্শ :

হাইপার ভিজিল্যান্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। খানিকটা সময় তাকে একেবারে নিজের মতো থাকতে দিতে হবে। সব সময় ঘাড়ে শ্বাস ফেললে শিশুরা কোনো কথাই শুনতে চায় না।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» টানা ৩৩ ঘণ্টা ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

» পুতিন আর আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প

» জবি শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেনি সরকার: হাদী

» আগে কুকুরের মুখে ছিলাম, এখন বাঘের মুখে পড়েছি আমরা: মির্জা আব্বাস

» ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ৭৫ জন

» গণমাধ্যমের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করছে না: ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে মাহফুজ

» নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

» কয়েক মাসে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া : আসিফ নজরুল

» সাম্য হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সম্রাট শ্রমিক দল নেতা? মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

» দেশের প্রথম শরীয়াহ ভিত্তিক স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগ সুযোগ দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক ও সিটি গ্রুপ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং: সন্তানের জন্য বিরক্তিকর

ইংরেজিতে হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং বলে একটা শব্দ আছে, যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায় সন্তানের ঘাড়ে সারাক্ষণ শ্বাস ফেলা বা তার পিছে লেগে থাকা। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই কিন্তু তার স্কুল বা পড়াশোনা সংক্রান্ত আলোচনাও নয়। পড়ায় অসুবিধা হলে সাহায্য অবশ্যই করবেন, কিন্তু তার হোমওয়ার্ক নিয়ে সারাক্ষণ আপনি মাথাব্যথা করবেন না। বরং এই অবসরে সন্তানকে কিছু বাড়ির কাজ শেখান।

 

বিশেষ করে যাদের বয়স দশ বছর বয়সের বেশি, তারা স্বচ্ছন্দে রান্না, বাসন মাজা বা ঘর গোছানোর কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিন, গেম খেলুন, ভালো সিনেমা দেখুন। ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টনও খেলা যায়।

মনে রাখতে হবে, আপনি যা যা বলছেন, আপনার সন্তানের কাছে তার সবটা যুক্তিগ্রাহ্য বলে না-ও মনে হতে পারে। এতেই রেগে যাওয়ার কিছু নেই, মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরি হলে বরং তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সন্তানের কথাটাও মন দিয়ে শুনতে হবে। দরকারে মেনেও নিতে হতে পারে। শিশু মানেই যে সে ভুল বলছে, তেমনটা না-ও হতে পারে।

 

নিজের না পাওয়া বা ব্যক্তিগত আক্ষেপের দায় সন্তানের ওপর চাপাবেন না। এতে ছোট্ট মানুষটির চিন্তার জগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাকে তার কোনগুলি গুণ, তা বুঝিয়ে দিতে পারেন। দোষ করলে সেটাও বলুন খোলা মনে। নিজের কোনো দুর্বলতা থাকলে সেটাও স্বীকার করতে লজ্জা পাবেন না। এসব মেনে চললে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

 

কখনও অন্য কারো সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না। প্রতিটি শিশুই স্পেশাল। আপনার সন্তানের গুণগুলি খুঁজে বের করার ওপর জোর দিন। সবচেয়ে বড়ো কথা, বাচ্চাকে নিজের মতো খানিকটা সময় কাটানোর সুযোগ দিন।

মনোবিদদের পরামর্শ :

হাইপার ভিজিল্যান্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। খানিকটা সময় তাকে একেবারে নিজের মতো থাকতে দিতে হবে। সব সময় ঘাড়ে শ্বাস ফেললে শিশুরা কোনো কথাই শুনতে চায় না।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com