হাসনাত-সারজিসকে লড়তে হবে বিএনপির যে তরুণ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে!

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বাদ নেই তরুণ তুর্কীদের রাজনৈতিক দল এনসিপিও। নিজ নিজ আসনে তারাও গণসংযোগ করছেন প্রতিনিয়ত। এরই মাঝে চুড়ান্ত হয়ে গেছে এনসিপির আলোচিত দুই তরুণ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নির্বাচনী এলাকা।

 

হাসনাত প্রার্থী হবেন কুমিল্লা-৪ আসন থেকে। অন্যদিকে সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থী। তবে এই দুই তরুণকেই লড়তে হবে বিএনপির তরুণ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।

এখনো পর্যন্ত কুমিল্লা-৪ আসনের জন্য বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন তরুণ নেতা তারেক মুন্সি। বনেদী রাজনৈতিক পরিবারের তারেক মুন্সি ধানের শীষের প্রার্থী হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে হাসনাত আবদুল্লাহ কে।

 

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৪ আসনের প্রার্থী আগেই ঘোষণা করেছে। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদের।

 

অন্যদিকে পঞ্চগড়-১ আসনের জন্য বেশ জোরেসোরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন সারজিস আলম। এরই মাঝে গাড়িবহর নিয়ে তার জনসংযোগ সর্ব মহলে আলোচনায় এসেছে। তবে সারজিসকেও বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে। এই আসনেও রয়েছে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ঐতিহ্যবাহী পরিবার।

সারজিস আলমকে লড়তে হতে পারে নওশাদ জমিরের বিরুদ্ধে। বিএনপির জাদরেল নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকারের ছেলে নওশাদ জমির। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে নওশাদ জমিরকে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করছে স্থানীয়রা। যদিও সারজিসও আলমও তার নাম ও খ্যাতি দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে নওশাদ জমিরের চেয়ে।

 

পঞ্চগড়-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে, তরুণ নেতা ইকবাল হোসেনের। তিনি জেলা জামায়াত আমির এবং তেতুলিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, মাত্র ১ মাসে হাসিনার মত ফ্যাসিস্টকে সড়াতে আন্দোলনে যারা ছিলেন,
তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সারজিস ও হাসনাতরা। তাই তাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা। সাদজিসদের মত বিদ্রোহীরা দেশ চালালে জবাবদিহিতার জায়গা থাকবে।

আরেকদল বলছে, যে যত কথাই বলুক, ব্যালটে এবার ধানের শীষ থাকলেই সিল পরবে। প্রার্থী কে সেটা বিবেচ্য হবে না। কারণ বিএনপি পরীক্ষিত রাজনৈতিক দল।

 

তবে হাসিনা পতনে নেতৃত্ব থাকায় নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমদের মত বেশ কয়েকজন তরুণ এবারের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুটা ছাড় পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই আসনগুলোতে এক ধরনের সমঝোতা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে রাজনীতির মাঠে।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আ. লীগ এখন বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা উদ্বেগ, দেশের মাটিতে এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর ঠাঁই হবে না: তুষার

» নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন: খসরু

» দুর্নীতি দূর করতে স্বয়ংক্রিয় ভূমি সেবা চালু হচ্ছে: ভূমি উপদেষ্টা

» ধর্মভিত্তিক একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে

» ‎পাবনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট

» যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা

» ধমক দিয়ে নির্বাচনের অভিযাত্রা দমিয়ে রাখা যাবে না : জাহিদ হোসেন

» জুয়া ও মাদক সেবনকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৪ জন গ্রেপ্তার

» তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে ‍যাব: আসিফ মাহমুদ

» ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার শুনানি, ট্রাইব্যুনালে ৮ আসামি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হাসনাত-সারজিসকে লড়তে হবে বিএনপির যে তরুণ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে!

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বাদ নেই তরুণ তুর্কীদের রাজনৈতিক দল এনসিপিও। নিজ নিজ আসনে তারাও গণসংযোগ করছেন প্রতিনিয়ত। এরই মাঝে চুড়ান্ত হয়ে গেছে এনসিপির আলোচিত দুই তরুণ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নির্বাচনী এলাকা।

 

হাসনাত প্রার্থী হবেন কুমিল্লা-৪ আসন থেকে। অন্যদিকে সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থী। তবে এই দুই তরুণকেই লড়তে হবে বিএনপির তরুণ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।

এখনো পর্যন্ত কুমিল্লা-৪ আসনের জন্য বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন তরুণ নেতা তারেক মুন্সি। বনেদী রাজনৈতিক পরিবারের তারেক মুন্সি ধানের শীষের প্রার্থী হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হবে হাসনাত আবদুল্লাহ কে।

 

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৪ আসনের প্রার্থী আগেই ঘোষণা করেছে। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদের।

 

অন্যদিকে পঞ্চগড়-১ আসনের জন্য বেশ জোরেসোরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন সারজিস আলম। এরই মাঝে গাড়িবহর নিয়ে তার জনসংযোগ সর্ব মহলে আলোচনায় এসেছে। তবে সারজিসকেও বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে। এই আসনেও রয়েছে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ঐতিহ্যবাহী পরিবার।

সারজিস আলমকে লড়তে হতে পারে নওশাদ জমিরের বিরুদ্ধে। বিএনপির জাদরেল নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকারের ছেলে নওশাদ জমির। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে নওশাদ জমিরকে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করছে স্থানীয়রা। যদিও সারজিসও আলমও তার নাম ও খ্যাতি দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে নওশাদ জমিরের চেয়ে।

 

পঞ্চগড়-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে, তরুণ নেতা ইকবাল হোসেনের। তিনি জেলা জামায়াত আমির এবং তেতুলিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, মাত্র ১ মাসে হাসিনার মত ফ্যাসিস্টকে সড়াতে আন্দোলনে যারা ছিলেন,
তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সারজিস ও হাসনাতরা। তাই তাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা। সাদজিসদের মত বিদ্রোহীরা দেশ চালালে জবাবদিহিতার জায়গা থাকবে।

আরেকদল বলছে, যে যত কথাই বলুক, ব্যালটে এবার ধানের শীষ থাকলেই সিল পরবে। প্রার্থী কে সেটা বিবেচ্য হবে না। কারণ বিএনপি পরীক্ষিত রাজনৈতিক দল।

 

তবে হাসিনা পতনে নেতৃত্ব থাকায় নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমদের মত বেশ কয়েকজন তরুণ এবারের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুটা ছাড় পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই আসনগুলোতে এক ধরনের সমঝোতা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে রাজনীতির মাঠে।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com