তারিখ : January, 13, 2025,
আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শীতের সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন হলদে ফুলের মনমাতানো মৌ-মৌ গন্ধ আর অপরূপ দৃশ্য আকৃষ্ট করে যে কাউকে। জেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে সরিষার আবাদ হয়েছে চোঁখে পড়ার মতো। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে,হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। চলতি মৌসুমে সরিষার রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে। চারদিকে হলুদের সমারোহ, মাঠের দিকে তাকাতেই চক্ষু জুড়িয়ে যায়। যেন দিগন্ত ছুঁয়েছে সরিষা ফুলে। অধিকাংশ সরিষাক্ষেতে ফুল ফুটেছে। সুন্দর বীজও আসতে শুরু করেছে। ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছি। অপরুপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকরা যেন তাদের ক্ষেতে রাশি রাশি সোনা ছড়িয়ে রেখেছে। সরিষার একটি লাভজনক ফসল। সঠিক পরিকল্পনায় চাষাবাদ করলে প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ/ছয় মণ পর্যন্ত ফলন হয় এবং এক জমিতে বছরে তিন ফসল ফলানো যায়। একইভাবে কৃষকও লাভবান হয়। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের জন্য সরিষার আবাদের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন কৃষি বিভাগ।
দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের সরিষা চাষি আহম্মদ আলী জানান, কৃষি অফিসের সহতায় এ বছর তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। সরিষার ফুল শেষে ভালো আর বড় বড় বীজ দেখা যাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ/ছয় মণ পর্যন্ত সরিষার ফলন হয়। আশা করছি প্রতি বিঘায় সরিষা দশ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডালিম কুমার সরকার বলেন,গত বছরের তুলনায় এবারে বারি-১৪ জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমাদের কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষককে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন,সরিষা একটি লাভ জনক ফসল হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার আবাদের পরিমান বৃদ্দি পেয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সার,বীজ বিতরন করছি। মাঠ পর্যায়ে কৃষদেরকে পরামর্শ দিয়ে আসছি।