ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দি থেকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পায় মো. মুশফিক উদ্দীন টগর। সেই মামলায় মুক্তি পাওয়ার পর থেকে অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়েন টগর। অবশেষে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর থেকে মুশফিক উদ্দীন টগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন।
র্যাব-৩ অধিনায়ক জানান, বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় জেল হাজতে সাজা খাটা অবস্থায় বিশেষ বিবেচনায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট টগর মুক্তি পায়। মুক্তির পর তার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটা মাদক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর তার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তির পর তিনি অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়েন।
গ্রেপ্তারের সময় মুশফিকের কাছ থেকে ৩২ মি. মি. এর একটি রিভলবার, একটি ম্যাগজিন, একটি কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১৫৫টি গুলি (২২ রাইফেল), একটি ৭.৬২ মি. মি. এর মিসফায়ার গুলি, একটি শর্টগানের খালি কার্তুজ, দুটি মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিকের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করেন।
র্যাব জানায়, মূলত তারা অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে তার পরিচয় পায়। তখন জানা যায় তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এছাড়াও তার কাছ থেকে অনেকগুলো মুখোশ উদ্ধার করা হয়, যা নিয়ে তদন্ত চলছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানায় র্যাব।