সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক::গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের বর্বরতায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো উপত্যকা জুড়ে। বর্তমানে শীতের কারণে গাজায় মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলেছে।
এবার সেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়েই আতঙ্কে আছে ইসরায়েলের সেনারা। সেই উদ্বেগ থেকেই গণমাধ্যমের প্রচারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ব্রাজিলে অবকাশযাপনে গিয়ে ইসরায়েলের এক রিজার্ভ সেনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের শিকার হন। গাজায় দায়িত্বরত অবস্থায় যুদ্ধাপরাধ করেছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় ব্রাজিলের আদালতে।ফিলিস্তিনপন্থী একটি গোষ্ঠী এই মামলা করে। মামলা আমলে নিয়ে ওই সেনার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত। বাধ্য হয়ে ওই সেনা ব্রাজিল ছেড়ে পালান।
সেই ঘটনার পরই নতুন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এখন যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্বরত ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ে গণমাধ্যমের প্রচারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজায় দায়িত্ব পালন করা ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনারা পরবর্তী সময়ে বিদেশ ভ্রমণে গেলে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থার ঝুঁকিতে যেন না পড়ে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, নতুন নিয়মের আওতায় কর্নেল ও তার নিচের পদমর্যাদার কোনো ইসরায়েলি সেনাসদস্যের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী গণমাধ্যম তাদের (সেনাসদস্য) পুরো নাম বা মুখমণ্ডল প্রদর্শন করতে পারবে না। অবশ্য একই ধরনের নিয়ম আগে থেকেই ইসরায়েলি পাইলট ও বিশেষ বাহিনী ইউনিটের সদস্যদের জন্য বিদ্যমান আছে।