সড়কপথে ইয়াবা আসে আকাশপথে পেমেন্ট

ইয়াবার কোনো বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় কারবারিরা। পরে তারা পেমেন্ট নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসে। আর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে তারা কোনো মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করত না। নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ব্যবহার করে মাদকের লেনদেন করে আসছিল।

 

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ইয়াবার কারবার করছিল এই চক্র। বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে এনে ওই সব ফ্ল্যাটে ইয়াবাগুলো মজুদ করা হতো। এরপর নারী সদস্যের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করত। দুই দিনের টানা অভিযানে চক্রটির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

 

গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ডিএনসির ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। আটক ওই ছয়জন হলেন- তানভির মাহমুদ, রবিন, ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর আলম ও জবা আক্তার।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, প্রথমে তানভির মাহমুদ ও রবিনকে ভাটারা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্রের নাম বলে এবং সেই চক্রের সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর ও জবাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩২ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। মাদকের এই চালানটি বুধবার রাতেই টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসে। আর ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুরের বাড়ি টেকনাফে। ওই এলাকার মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তারা আছেন। ইয়াবার কোনো বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন তারা। পরে তারা পেমেন্ট নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসতেন।

 

রাশেদুজ্জামান বলেন, ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুর আলম রাজধানীতে তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। তারা টেকনাফ থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্নজনকে ব্যবহার করতেন, নিজেরা সরাসরি বহন করতেন না। ঢাকায় এ কাজে তারা জবা আক্তারের ভাড়া বাসা ব্যবহার করতেন। কারবারের নিরাপত্তার স্বার্থে জবা আক্তার পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। বড় চালান মজুদের জন্য তিনি একেক সময় একেক বাসা ব্যবহার করতেন। এই সিন্ডিকেটের সবাই গোপনীয়তার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপস ব্যবহার করে।  সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারত বাংলাদেশ সফরে না এলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি!

» পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী

» ইনসাফ ও মর্যাদার বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম

» ‘কুলি’-তে আমির খানের রাফ লুক, ফার্স্ট লুকেই চমক

» ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

» টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃত অন্তত ৬৩

» জয়ার সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে যা বললেন অমিতাভ

» ‘বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’

» গোলাম মাওলা রনি টেলিভিশন টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন : প্রেসসচিব

» দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, ৭ নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সড়কপথে ইয়াবা আসে আকাশপথে পেমেন্ট

ইয়াবার কোনো বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয় কারবারিরা। পরে তারা পেমেন্ট নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসে। আর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে তারা কোনো মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করত না। নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ব্যবহার করে মাদকের লেনদেন করে আসছিল।

 

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ইয়াবার কারবার করছিল এই চক্র। বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে এনে ওই সব ফ্ল্যাটে ইয়াবাগুলো মজুদ করা হতো। এরপর নারী সদস্যের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করত। দুই দিনের টানা অভিযানে চক্রটির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

 

গতকাল দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ডিএনসির ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। আটক ওই ছয়জন হলেন- তানভির মাহমুদ, রবিন, ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর আলম ও জবা আক্তার।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, প্রথমে তানভির মাহমুদ ও রবিনকে ভাটারা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্রের নাম বলে এবং সেই চক্রের সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায়। এ তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর ও জবাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩২ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। মাদকের এই চালানটি বুধবার রাতেই টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসে। আর ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুরের বাড়ি টেকনাফে। ওই এলাকার মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তারা আছেন। ইয়াবার কোনো বড় চালান ঢাকায় অন্যজনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন তারা। পরে তারা পেমেন্ট নিতে বিমানে করে ঢাকায় আসতেন।

 

রাশেদুজ্জামান বলেন, ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুর আলম রাজধানীতে তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। তারা টেকনাফ থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্নজনকে ব্যবহার করতেন, নিজেরা সরাসরি বহন করতেন না। ঢাকায় এ কাজে তারা জবা আক্তারের ভাড়া বাসা ব্যবহার করতেন। কারবারের নিরাপত্তার স্বার্থে জবা আক্তার পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। বড় চালান মজুদের জন্য তিনি একেক সময় একেক বাসা ব্যবহার করতেন। এই সিন্ডিকেটের সবাই গোপনীয়তার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপস ব্যবহার করে।  সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com