ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক: শীতের শুরু থেকেই স্বস্তির হাওয়া বইছে বাজারে। সবজির দাম কমার ধারাবাহিকতার সাথে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বর্তমান দামকে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল উল্লেখ করে সরকারকে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাকের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
মুরগির পাশাপাশি অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীল অবস্থা দেখা গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতিকেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিকভাবে মাংসের দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশিল মানেই তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে না। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
মগবাজারের চারুলতা মার্কেটের ক্রেতা এনামুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, মেসে ব্রয়লার মুরগি নিয়মিত খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। কিন্তু এখনের যে দাম তাতে মাসের মাঝামাঝির পর থেকে আর তা কেনা সম্ভব হয় না। এক কেজি মুরগির তুলনায় এক কেজি মাছে বেশিসংখ্যক মিল করা যায়। অথচ আগে মাছের তুলনায় মুরগিটা সাশ্রয়ী ছিল। গত সপ্তাহের থেকে দাম বাড়েনি এটা স্বস্তির বার্তা হতে পারে না।
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার খোরশেদ গোশত বিতানের ক্রেতা সিয়াম বলেন, গরুর মাংসের দাম অনেক দিন যাবত একই আছে। তবে এর থেকে যেন কমে সরকারকে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের পাতে গরুর মাংস উঠবে।
গরুর মাংসের দোকানটির এক বিক্রেতা বলেন, মাংসের দাম কমাতে হলে গরুর দাম ও আনা-নেওয়ার বাড়তি খরচ কমাতে হবে। আমরা অতি লাভ করি না। যেই দামে বিক্রি করছি তার থেকে কমে বিক্রি করা আমাদের পক্ষে আপাতত সম্ভব না।সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম