সেবা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। আমরা এই বৈষম্য দূর করতে চাই। এজন্য হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসাসেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

 

আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফি নির্ধারণী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরাইজড করে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী এ, বি, সি, ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ঐ হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না। এছাড়া যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নেই, সেখানে ঐ চিকিৎসা দেওয়া মানে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা। এ জন্যই মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণে কাজ চলছে।

 

এর আগে সকালে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানোন্নয়নে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যত্রতত্র এবং অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক বা গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনোরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে : মান্না

» শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা

» বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়নি আরব আমিরাত : রাষ্ট্রদূত

» সেনাবাহিনীর সাথে ইউপিডিএফের গোলাগুলি, অস্ত্র উদ্ধার

» ১ বছর আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে, আজ দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান

» ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে: জামায়াত আমির

» রাতের অন্ধকারে ‘জিনের আসর’ বসিয়ে নেতা নির্বাচন করে জামায়াত: আজিজুল বারী হেলাল

» ক্ষমতায় গেলে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করবে জামায়াত

» কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে: তারেক রহমান

» বুক ফুলিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন করুন: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপদেষ্টা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সেবা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। আমরা এই বৈষম্য দূর করতে চাই। এজন্য হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসাসেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

 

আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফি নির্ধারণী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরাইজড করে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী এ, বি, সি, ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ঐ হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না। এছাড়া যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নেই, সেখানে ঐ চিকিৎসা দেওয়া মানে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা। এ জন্যই মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণে কাজ চলছে।

 

এর আগে সকালে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানোন্নয়নে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যত্রতত্র এবং অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক বা গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনোরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com