সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে লম্বা সময় বাসা আর হাসপাতালে কেটেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। সবশেষ লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে অনেকটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর স্বজনদের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মধ্যেও স্বস্তি নেমে এসেছে। অসুস্থতার কারণে এক যুগের বেশি সময় পর কোনো নিকটাত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পেলেন খালেদা জিয়া।
শনিবার (১০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে দুই পুত্রবধূকে নিয়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় যান তিনি। লন্ডন থেকে ফেরার চাদিন পর বাসা থেকে প্রথম বের হলেন তিনি। পরে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটিয়ে বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় পেয়ে স্বজনদের চোখেমুখে স্বস্তি দেখা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল খালেদা জিয়াকে। সেদিন তিনি সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মাঝে চিকিৎসার জন্য চার মাস কাটান লন্ডনে। সেখান থেকে গত ৬ মে ফেরার পর গুলশানে ছোট ভাইয়ের বাসায় গেলেন।
শনিবার (১০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে একটি নীল রঙয়ের একটি গাড়িতে বের হন খালেদা জিয়া। সামনের আসনে বসেন তিনি। গাড়ির দুই দিকের ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডের একটিতে বিএনপির পতাকা ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাড়িটি গুলশানের ৪২ নম্বর সড়কের ২৪/বি বাসায় প্রবেশ করে। সেখানে শামীম এস্কান্দার, তার সহধর্মিণী কানিজ ফাতেমা, আরেক ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের সহধর্মিণী নাসরিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এসময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ আমান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একান্তে কিছু সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরেছেন।