ফাইল ছবি
সুন্দরবনে শেষ হলো বাঘ গণনার কাজ। বাঘশুমারির কাজে এক হাজার ২০০টিরও বেশি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক সংগঠন বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের পর তৃতীয়বারের মতো ২০২২ সালে সুন্দরবনের বাঘ গণনা শুরু করেছিল খুলনা ফরেস্ট অফিস।
তিনি বলেন, তিন বছরে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঘ গণনা ও সংরক্ষণবিষয়ক দুইটি মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। আমরা জেনেছি সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন বেস্টের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, সচেতনতার কারণেই বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। তবে, প্রতি তিন বছর অন্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাঘ গণনা না করে এই টাকা দিয়ে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে কাজ করলে আরও উপকৃত হবে। প্রতি তিন বছর পরপর বাঘ গণনা করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জাতীয় পরিষদ সদস্য ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী আইনজীবী মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, প্রতি তিন বছর অন্তর বাঘ গণনার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এখানে বড় ধরনের অর্থ অপচয় হচ্ছে। বাঘ গণনার নামে লুটপাট হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকা। এগুলো বন্ধ করতে হবে। ১০ বছর পর পর একবার গণনা করলে সুন্দরবনের ওপর চাপ কমবে।
সুন্দরবন পশ্চিম বনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, এর আগে বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাঘ জরিপ হলেও এ বছর দেশীয় প্রযুক্তি ও দেশের অর্থায়নে খুলনার চারটি রেঞ্জেই ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়। এছাড়া. ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঘ রক্ষার জন্য সুন্দরবনে বাঘেরকেল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী, সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালের শুমারিতে ছিল ১১৪টি।