এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ শরণখোলা সহ ৯উপজেলায় গরুর ল্যাম্পিস্কীন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে শত শত গরু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে অর্ধ শতাধিক গরু। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে ল্যাম্পিস্কীন রোগের ভ্যাকসিন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যাচ্ছেনা।
উপজেলার গ্রামাঞ্চল থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, গত ১৫-২০ দিন যাবত শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ব্যপক ভাবে গরুর ল্যাম্পিস্কীন রোগ দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসী এ রোগকে গরুর পক্স হিসেবে আখ্যায়িত করছে। আক্রান্ত গরু নিয়ে গরু মালিকরা দিশেহারায় পড়েছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী শত শত গরু আক্রান্ত ও ৫ শতাধিক গরু ল্যাম্পিস্কীন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মারা যাওয়া গরু মালিকদের মধ্যে রাজাপুর গ্রামের বলরাম কির্তনীয়া, সরানন শিকদার, কলিম হাওলাদার, রাজেশ্বর গ্রামের রথিন হালদার, গোলবুনিয়া গ্রামের মেহেদী তালুকদার, খাদা গ্রামের খালেক হাওলাদার, খোন্তাকাটা গ্রামের সোবাহান হাওলাদার, বাধাল গ্রামের হাশেম মোল্লার নাম জানা গেছে। রাজেশ্বর গ্রামের কবির আকন, রাজাপুর গ্রামের মনোরঞ্জন বৈদ্ধ ও কলিম হাওলাদার সহ অনেক গ্রামবাসী বলেন, তাদের গরু পক্স (ল্যাম্পিস্কীন) রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে গিয়ে ভ্যাকসিন ও রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ঔষধ পাওয়া যাচ্ছেনা। স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির তৈরী ভ্যাকসিন চড়া মূল্যে ৩/৪ হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যায়না। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন চাষাবাদের মৌসুমে গরু দিয়ে হালচাষ করা যাবেনা বলে আরা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
শরণখোলা উপজেলা ভ্যাটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আল মামুন জুয়েল বলেন, শরণখোলায় অনেক গরু ল্যাম্পিস্কীন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫/ ২০ টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি বলেন ল্যাম্পিস্কীন রোগ একটি ভাইরাস জাতীয় গরুর চর্ম রোগ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এ রোগ প্রথম দেখা দেয়। ল্যাম্পিস্কীন রোগের কোন ভ্যাকসিন সরকারি ভাবে উৎপাদন করা হয়না বলে তাদের দপ্তরে সরবরাহ নেই। আক্রান্ত গরু মালিকদের বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে বলে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।