ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে দলের হাল ধরেন উইলিয়ামস ও মাধেভেরে। দুজনের ৭৯ বলে ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে দলটি।
শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙলেও এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১৯১ রান ছাড়িয়ে যায় সফরকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২১৯। তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ২৮ রান।
দলের লিড নিশ্চিত হওয়ার পর রান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন শন উইলিয়ামস। বড় শট খেলতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে আনেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং-অফ দিয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। তবে ব্যাটে ঠিকঠাক বল না লাগায়, দারুণ ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়।
সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে ৫৯ রান করেন উইলিয়ামস। এর আগে লিড নেওয়ার আগমুহূর্তে খালেদ আহমেদের বলে ইনসাইড এজড হয়ে ৩৩ বলে ২৪ রানে আউট হন মাধেভেরে। গতকাল শেষ বিকেলে দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেনের অবিচ্ছিন্ন জুটির পর মূলত উইলিয়ামস-মাধেভেরের ব্যাটিংয়ে লিড নিশ্চিত হয়।
এখন সফরকারী দলের শেষ দিকের ব্যাটাররা চাইবেন যতটা সম্ভব লিড বাড়াতে। অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া।
এর আগে সিলেট টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯১ রানের সংগ্রহে থামে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ১০৫ বলে ৫৬ রান। এছাড়া ৬৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
যে পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা বিপর্যস্ত ছিলেন, সেই সিলেটেই শেষ বিকেলে যেন উইকেট ব্যাটারদের পক্ষে হয়ে ওঠে। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রানে দিন শেষ করে সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে একেবারে শুরু থেকেই ভালো কিছু করার প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। দলকে সেই শুরুটা এনে দেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা।
সিরিজ শুরুর আগেই নাহিদকে নিয়ে ছিল কিছু নিন্দা ও প্রশ্ন। বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক বলেছিলেন, নাহিদের চেয়ে দ্রুতগতির বল তাঁরা মেশিনেই অনুশীলন করেন। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ক্রিজে নামলেই বোঝা যাবে নাহিদের গতির মাহাত্ম্য।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই নাহিদ রানা দেখান গতির ঝলক। দিনের তৃতীয় ওভারে তাঁর বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেন কারেন। ফিফটি তুলে নেওয়া বেনেটকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রানা। স্কোয়ার কাট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় জাকের আলীর হাতে। খানিক বাদেই হাসান মাহমুদ ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওয়েলচকে।
এখন পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।