সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সিলেটে জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার ও বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি পুনরায় চালুসহ ছয় দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
আজ ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে পূর্বঘোষিত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
তাদের ৬ দাবি হলো- সড়ক পরিবহন আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহনের ওপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুর করা মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
তবে ধর্মঘটের বিষয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ রোববার রাতে এক ঘোষণায় ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করে বাস চলবে বলে জানান।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতির অন্য নেতারা লোকমানের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন বলে জানিয়ে স্পষ্ট করেন যে, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে, সিএনজি অটোরিকশা, ট্যাক্সি ও কার মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও ধর্মঘটে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি জামিল আহমদ লিটন।
ধর্মঘটের কারণে সিলেট নগর ও আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।