সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে রঙিন পোশাকে প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি বাংলাদেশ। খেলাটা ক্যারিবিয়ানে হলেও এখানে শেষ দুই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি যে ছিল সঙ্গী। আর সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ চারটি সিরিজ জয়ের ধারা। ব্যাটাররা ভালো একটা পুঁজি এনে দিলেও প্রথম ম্যাচে বোলাররা পারেননি জেতাতে। ফলে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ সিরিজে টিকে থাকার, যেখানে জয়ের নেই বিকল্প।
প্রথম ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশকে প্রেরণা দিতে পারে এই তথ্য- ২০১৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি তারা। এ সময় ঘরের মাঠে দু’টি এবং ক্যারিবীয় সফরে দু’টি সিরিজ জিতেছে তারা। তবে মঙ্গলবার হেরে গেলে সেই মাইলফলক হাতছাড়া হয়ে যাবে মিরাজদের।
যদিও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বেশ আশাবাদী। প্রথম ম্যাচ হারের পরও সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস তার কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, ‘অনেক কিছুই শিখতে পারি আমরা। প্রথম ম্যাচে বেশ কিছু ভুল করেছি। পরের ম্যাচে আরও ভালো করায় মনোযোগ দিতে হবে। এখনও দুই ম্যাচ বাকি আছে। জয়ের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। এখনও মনে করি, আমাদের ভালো সুযোগ আছে।
যে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে! প্রথম ওয়ানডেতে ভালোই ব্যাটিং করেছে টিম বাংলাদেশ। যদিও মাঝের ওভারগুলোতে বোলাররা কিছুটা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। যার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে হেরে। ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে মিরাজ সামনে তাকিয়ে, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি এবং ভালো সংগ্রহ পেয়েছিলাম। আমাদের বোলাররাও ভালো শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং হয়নি। তারা জুটি গড়ায় আমরা উইকেট পাইনি। মাঝের ওভারে জুটি আমাদের হারের মুখে ছিটকে দেয়।
আগের ম্যাচের স্কোয়াড থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। সেন্ট কিটসে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ আগের মতোই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাটিংয়ে কিছুটা স্ট্রাইকরেট বাড়াতে হবে। আগের ম্যাচে মিরাজ রান করলেও তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ওপেনার সৌম্য বড় রান পেলে দলের জন্যই সুবিধা হবে। তানজদি তামিম, জাকের আলীর মতো কিছুটা আগ্রাসী ভূমিকাতে খেলতে পারলে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারবে বাংলাদেশ। সেটি করতে পারলে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সহজ হয়ে যাবে। সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম