জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, ‘সিএনজির বিকল্প জ্বালানি যানবাহন খাতে হয় পেট্রোল না হয় ডিজেল। এজন্য এবার যখন ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় তখন সিএনজির দাম বাড়ানোর বিষয়টিও সামনে আসে। সিএনজিতে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। সিএনজি আগে দেশি গ্যাসে ছিল। এখন আমদানি করতে হচ্ছে। আমরা আগে বলেছিলাম পেট্রোলের দাম যা হবে তার ৭৫ শতাংশ হবে সিএনজির দাম।’ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, ‘সরকারকে এজন্য সিএনজির মূল্য নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ পর্যন্ত দেশের অন্যান্য জ্বালানির মূল্য বাড়ালেও এ খাতটি এখনো ধরা হয়নি। শুধু সিএনজির ওপর ভর করে থাকলে সংকট বাড়বে।’ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্যমতে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে জুলাইয়ে গড়ে দৈনিক অকটেন বিক্রি হতো ১ হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন। ৫ আগস্ট তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর এটি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া পেট্রোল দৈনিক গড়ে বিক্রি হতো ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন, মূল্যবৃদ্ধির পর গড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ মেট্রিক টন। একই সঙ্গে কমেছে ডিজেলের বিক্রিও। জুলাইয়ে গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হয় ১৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। দাম বাড়ার পর থেকে গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবহারকারী অনেকেই এখন সিএনজিতে ঝুঁকছেন। অকটেনের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় গাড়ির মালিকরাও ঝুঁকছেন সিএনজিতে। যেখানে প্রতি লিটার অকটেন ১৩০ টাকা সেখানে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি ৪৩ টাকা। এজন্য গাড়িতে সিএনজি কনভারসনের প্রবণতাও আগের চেয়ে বেড়েছে। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহার নুর বলেন, ‘সিএনজির ব্যবহার বেড়েছে। ডিজেলচালিত গাড়িগুলো আবার সিএনজিতে ফেরত এলে এর ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাবে। আগে বাই ফুয়েল সিস্টেমের কারণে ব্যক্তিগত গাড়িতে দুটো ফুয়েলই (তেল ও গ্যাস) ভোক্তারা ব্যবহার করতেন। তখন তারা তেল ব্যবহার করতেন ৩০ শতাংশ ও গ্যাস ৭০ শতাংশ। এখন গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে।’
সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন