ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি ও অফিসে এ রুপির সন্ধান মেলে।
সাবেক মন্ত্রী জাকির হোসেনের মুর্শিদাবাদের এবং দিল্লির বাড়ি, তার ম্যানেজারের বাড়ি, বিধায়কের চালকল, বিড়ি কারখানা, তেলকল, জুটমিলসহ মোট ২৮ জায়গায় একসঙ্গে হানা দেয় দেশটির আয়কর দফতর। এরপর একযোগে শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ‘কুবের কা খাজানা’ বা ‘কুবেরের ধন’।
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। এই রুপি আসলে কার, সেই উত্তরও মেলেনি এখনও।
আয়কর দফতর সূত্রে আরো জানা যায়, প্রায় ১০ ঘণ্টার বেশি তল্লাশি অভিযান সাবেক মন্ত্রীর দিল্লির বাসভবন ও কারখানাটি উদ্ধার হয়েছে ৪ কোটির বেশি রুপি। মুর্শিদাবাদের চারটি বিড়ির কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১০ কোটি রুপি। শুধু জাকিরের বিড়ি কারখানা ‘শিব বিড়ি’ থেকেই মিলেছে ৮ কোটি রুপি।
এভাবে কেন লুকিয়ে রাখা ছিল রুপি? এত বিপুল রুপি আসলে কার? এই সব প্রশ্ন বিভিন্ন অফিসের কর্মীদের কাছে জানতে চান আয়কর দফতরের কর্মীরা। যদিও কোনো প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ। তবে বিধায়কের দাবি, উদ্ধার হওয়া রুপি বেআইনি নয়। খাতায়-কলমে সব ঠিক আছে।
সীমান্তঘেঁষা এলাকা বলেই পাচারের রুপি কি না, সেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে আয়কর দফতরের কর্মকর্তাদের। এই রুপির সঙ্গে কোনো হাওয়ালা যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরইমধ্যে রুপি উদ্ধার হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরও। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির ইস্যুর কথা মনে করিয়ে বিরোধী শিবির দায় চাপিয়েছে শাসকদল তথা তৃণমূলের বিধায়কের দিকেই।
পাল্টা বেছে বেছে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে বলেই সুর চড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। তেমনই পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের আরো এক বিধায়কের বাড়ি-অফিস থেকে ‘কুবের কা খাজানা’ উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। সূত্র: আনন্দবাজার