সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
আজ বেলা ১১টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এই তৎপরতা দেখা যায়। তবে এ সময় পর্যন্ত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক অবরোধ শুরু করেননি।
সংশ্লিষ্ট সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চললেও তবে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
আজ বেলা ১১টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় দেখা যায়, সড়কের দুই দিকে সারিবদ্ধভাবে পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
গতকাল রবিবার রাতে নীলক্ষেত মোড় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এই বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হামলায় জড়িত সবার বিচারের দাবিতে আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আজ সোমবারের সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এ ঘটনায় তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন।
এসময় নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এ ধাওয়া চলে দিবাগত রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।