ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালা মেনে একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ শীর্ষক এসওপি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও বৈধ অভিবাসনের নীতিগুলোকে বিপন্ন করে। এটি শুধু অসংখ্য জীবনকেই বিপন্ন করে না বরং দক্ষতাভিত্তিক ও বৈধ অভিবাসনের পথে এটি হুমকিস্বরূপ। আমরা বিপজ্জনক ও জীবন হুমকিপূর্ণ যাত্রা রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের একটি নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করা যায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালা মেনে একটি নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। যারই অংশ হিসেবে আজ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এই এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই এসওপি অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্য, উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত অংশীদারি রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে বৈচিত্র্যময় কর্মীবাহিনী/শ্রমিক, যার মধ্যে আছে অত্যন্ত দক্ষ পেশাদার থেকে শুরু করে আধা-দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক, যারা অস্ট্রেলিয়ার শ্রম বাজারের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত আঞ্চলিক পদ্ধতির প্রয়োজন।
উপদেষ্টা এ সময় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশগুলোতে বিস্তৃত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেন। এছাড়া, তিনি ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।