সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি

 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

 

আগামীকাল রবিবার ‘জাতীয় চা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি এ উপলক্ষ্যে চা শ্রমিক, মালিকসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা’। চা সারাবিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের  প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি (বঙ্গবন্ধু) চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে চা গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব  দেন।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্প পুনর্গঠনে বাগান মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি ১৯৭৩ সালে শ্রীমঙ্গলস্থ ‘টি রিসার্চ স্টেশন’কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন। এটি বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)’ হিসেবে দেশের চা গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

 

এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য- এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া, চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিক-বান্ধব চা শিল্প’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলেও  তিনি মনে করেন।

 

মো. সাহাবুদ্দিন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে বলেন, চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত  থাকবে।

 

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি

» ৪ বিভাগে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা

» বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

» খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

» প্রেসক্রিপশন বয়স্কদের সুষম খাদ্য

» বাংলাদেশের মানবাধিকার চর্চার প্রচেষ্টায় ইইউয়ের প্রতিনিধি দলের প্রশংসা

» মালয়েশিয়া হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ

» আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

» রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ১১জন গ্রেফতার

» ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে : রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি

 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

 

আগামীকাল রবিবার ‘জাতীয় চা দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি এ উপলক্ষ্যে চা শ্রমিক, মালিকসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা’। চা সারাবিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের  প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি (বঙ্গবন্ধু) চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে চা গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব  দেন।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপনের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্প পুনর্গঠনে বাগান মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি ১৯৭৩ সালে শ্রীমঙ্গলস্থ ‘টি রিসার্চ স্টেশন’কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন। এটি বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)’ হিসেবে দেশের চা গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

 

এক সময় চা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য- এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে ‘উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশ চা শিল্প’ অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া, চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাসস্থান, শৌচাগার ও নলকূপ স্থাপন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিক-বান্ধব চা শিল্প’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলেও  তিনি মনে করেন।

 

মো. সাহাবুদ্দিন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে বলেন, চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত  থাকবে।

 

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় চা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com