ফাইল ছবি
সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার মতে, বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে এন্ট্রি লেভেলে আবেদন ফি ১৫০০ টাকা। এগুলো বেকারদের সঙ্গে প্রহসন।
আজ হাসনাত তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। এর বেশি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (নন–ক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান চাকরি আবেদনের সময় এই ফি মানে না।
এ অবস্থায় চাকরি আবেদন ফি কমানোর জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার মতে, সরকারি বেশিরভাগ ৯ম গ্রেডে আবেদন ফি ৬৬৯ টাকা।
বিদ্যুৎ ( DPDC, DESCO, NESCO, NWPGCL, CGPGCL, Ashuganj+ যেকোনো স্বায়ত্তশাসিত বিদ্যুৎ কোম্পানিতে) আবেদন ফি ১০০০ টাকা, Assistant Manager লেভেলে ১৫০০ টাকা। এগুলো বেকারদের সঙ্গে প্রহসন। চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হতে পারে। এর বেশি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, সরকারি সব চাকরির (ক্যাডার পদ বাদে) আবেদন ফি পুনরায় নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য এই ফি প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (নন–ক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।