হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের করা জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আদালতে এদিন সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান।
জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি গত সোমবার শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতে ঐদিন সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান।
গত ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৩ মে হাইকোর্টের দেওয়া সেই আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত। এরপর জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।