সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, নাগালের বাইরে মাছ-মাংস

ফাইল ছবি

 

বাজারে দিন দিন বাড়ছে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম। এ ছাড়া পিঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। একসঙ্গে সব পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস ওঠেছে। বাজারে পেঁপের দাম কিছুটা কমলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। গ্রীষ্মকালীন সবজি-বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিঙ্গা, পটোল, করলাসহ অধিকাংশ সবজি ৬০-৮০ টাকার নিচে মিলছে না। এ ছাড়া মাছ বাজারেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। মাংসের বাজার স্থিতিশীল থাকলে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যেই।

 

ব্যবসায়ীদের মতে, এবারে অনাবৃষ্টির কারণে খরিপ মৌসুমে সবজির উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান কম থাকায় সবজির মূল্য তরতর করে বাড়ছে। শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর জিগাতলা, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে অধিকাংশ সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০, বরবটি ৬০-৬৫, ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০, টমেটোর কেজি ৫৫-৬০, কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০, ঢেঁড়স ৬০, আকারভেদে প্রতি লাউ-চাল কুমড়া ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০, পটোল ৮০ ও বেগুনের কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

জিগাতলা পুরাতন কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম দিয়ে সবজি কিনতে হয়। সবজির দাম বেশি হলে আমাদের বিক্রি করতে সমস্যা হয়। প্রায় সময় দাম নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়াতে হয়। এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। প্রতি কেজি পাঙাশ ২২০-২৩০, তেলাপিয়া মাছ ২২০, ২০ টাকা বেড়ে নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০, কার্পজাতীয় মাছ ২৩০-২৬০, ট্যাংরা মাছের কেজি ৭০০, জাটকার কেজি ২৫০-২৬০, চাষের কৈ ২৫০, হাইব্রিড পুঁটি ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও মাংসের বাজারে গিয়ে একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০, লেয়ার মুরগির কেজি ৩৪০-৩৫০ ও পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদের আগের বাড়তি দামে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশনের বাজারগুলোতে ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা করে বিক্রি হলে রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০, ছাগলের মাংস ১ হাজার ও খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

 

এছাড়া ডিমের বাজার ঘুরে কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। বাড়তি দামে প্রতি হালি ডিম ৫০ ও প্রতি ডজন ডিম ১৪৭-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান এলাকার ডিম বিক্রেতা আশরাফুল বলেন, ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও খাদ্য একই চেইনের অংশ। বাজারে খাদ্যের দাম বেশি থাকায় মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। পাইকারদের থেকে প্রতি পিস ডিম কেনা পড়ে ১১ টাকা। দোকান পর্যন্ত ডিম নিয়ে আসতে আরও তিন ধাপে খরচ যুক্ত হয়। সব খরচ মিলিয়ে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে এক হালি ডিমের বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় ৫০ টাকা। এর নিচে ডিম বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শৈশবে হারিয়ে গেলেন নাহিদ-হাসনাত,সারজিস এবং নাসীরুদ্দীনরা

» নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে আর কোনও ছাড় নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

» বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা

» জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি

» সম্পূরক ভোটার হালনাগাদ প্রকাশ আগামী সপ্তাহে : ইসি সানাউল্লাহ

» জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে

» ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

» অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ২৮৪ জন অপরাধী গ্রেপ্তার

» রাজনীতিতে যারা একেবারে এতিম, তারাই পিআর পদ্ধতি চায় : রিজভী

» আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে : গোলাম পরওয়ার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী, নাগালের বাইরে মাছ-মাংস

ফাইল ছবি

 

বাজারে দিন দিন বাড়ছে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম। এ ছাড়া পিঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। একসঙ্গে সব পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস ওঠেছে। বাজারে পেঁপের দাম কিছুটা কমলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। গ্রীষ্মকালীন সবজি-বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, চিচিঙ্গা, পটোল, করলাসহ অধিকাংশ সবজি ৬০-৮০ টাকার নিচে মিলছে না। এ ছাড়া মাছ বাজারেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। মাংসের বাজার স্থিতিশীল থাকলে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যেই।

 

ব্যবসায়ীদের মতে, এবারে অনাবৃষ্টির কারণে খরিপ মৌসুমে সবজির উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান কম থাকায় সবজির মূল্য তরতর করে বাড়ছে। শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর জিগাতলা, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে অধিকাংশ সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০, বরবটি ৬০-৬৫, ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০, টমেটোর কেজি ৫৫-৬০, কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০, ঢেঁড়স ৬০, আকারভেদে প্রতি লাউ-চাল কুমড়া ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০, পটোল ৮০ ও বেগুনের কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

জিগাতলা পুরাতন কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম দিয়ে সবজি কিনতে হয়। সবজির দাম বেশি হলে আমাদের বিক্রি করতে সমস্যা হয়। প্রায় সময় দাম নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়াতে হয়। এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। প্রতি কেজি পাঙাশ ২২০-২৩০, তেলাপিয়া মাছ ২২০, ২০ টাকা বেড়ে নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০, কার্পজাতীয় মাছ ২৩০-২৬০, ট্যাংরা মাছের কেজি ৭০০, জাটকার কেজি ২৫০-২৬০, চাষের কৈ ২৫০, হাইব্রিড পুঁটি ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও মাংসের বাজারে গিয়ে একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০, লেয়ার মুরগির কেজি ৩৪০-৩৫০ ও পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদের আগের বাড়তি দামে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশনের বাজারগুলোতে ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা করে বিক্রি হলে রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০, ছাগলের মাংস ১ হাজার ও খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

 

এছাড়া ডিমের বাজার ঘুরে কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। বাড়তি দামে প্রতি হালি ডিম ৫০ ও প্রতি ডজন ডিম ১৪৭-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান এলাকার ডিম বিক্রেতা আশরাফুল বলেন, ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও খাদ্য একই চেইনের অংশ। বাজারে খাদ্যের দাম বেশি থাকায় মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। পাইকারদের থেকে প্রতি পিস ডিম কেনা পড়ে ১১ টাকা। দোকান পর্যন্ত ডিম নিয়ে আসতে আরও তিন ধাপে খরচ যুক্ত হয়। সব খরচ মিলিয়ে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে এক হালি ডিমের বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় ৫০ টাকা। এর নিচে ডিম বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com