ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজার। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে সবজি বিক্রেতার কাছে বেগুনের দাম জানতে চান একজন ক্রেতা। প্রত্যুত্তরে বিক্রেতা বলেন, ‘আগের ভাও’। জবাবে ক্রেতাও বলেন, ‘তোমগো ভাও আর কমে না।
মো. সাইদুল ইসলাম একজন সবজি বিক্রেতা। তার কাছেও জানতে চাওয়া হয় দাম সম্পর্কে। জবাবে তিনি বলেন, আগের দামেই আছে। দাম বাড়েনি। বেগুন ৮০ টাকা। কোনো সবজিরই দাম বাড়েনি।
দাম বাড়লেও ‘আগের ভাও’ পছন্দ হয়নি ক্রেতা আব্দুল মমিনের। তিনি বলেন, ‘এক কেজি বেগুন ৮০ টাকা দিয়া কেনার সামর্থ্য নাই। আমার অতো টাকা নাই।
বেগুনের পাশাপাশি বাজারে এক কেজি কচুর লতি কিনতে গেলেও ক্রেতার পকেট থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ৮০ টাকা। একই দাম বরবটি ও চিচিঙ্গার। করলার দাম ও নেহায়েত কম নয়, কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
পটলের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দাম ধুন্দলের। তাই ক্রেতার আগ্রহ যেন এই সবজিতে একটু বেশিই।
কেজি আবার ৩০ টাকা কেজির প্রতি ঝুকছেন। ৬০ টাকায় চালকুমড়া, ২০ টাকায় মিষ্টি কুমড়ার ফালি কিনতেও দেখা গেছে অনেক ক্রেতাকে।
হতাশা কমেছে কাঁচা মরিচের দোকানে। চারশোর ঘর থেকে নেমে মরিচ এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
সবজির বাজারে স্বস্তির আরেক নাম কাঁচাকলা। ৪০ টাকা থেকে নেমে এক হালি কাঁচাকলা এখন মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আশাহতভাবে কমেছে লেবুর দাম। হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। তবে বাজারে নব্য আগত ভারতীয় টমেটোর দাম নিম্নআয় কিংবা মধ্যবিত্তদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
সম্প্রতি ব্রয়লারের বাজারে যে স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে, তার গতি যেন আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় নেমে আসা ব্রয়লার মুরগি এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সূএ : ঢাকা মেইল ডটকম