সপ্তাহের শেষে তিন জেলায় আকস্মিক বন্যা হতে পারে

ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক অববাহিকা এবং মেঘালয় রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। সেই ভারি বৃষ্টির ফলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা সম্পর্কিত আট দিনের বিশেষ প্রতিবেদনে বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়।

 

প্রতিবেদনে আগাম বন্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ১০ থেকে ১৭ এপ্রিল উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই ভারীর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার সুরমা, কুশিয়ারা, যদুকাটা, লুভাছড়া, সারিগোয়াইন, ধলাগাং, পিয়াইন, ঝালুখালি, সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস, ধনু-বাউলাই নদ-নদীতে পানির সমতল বেড়ে যেতে পারে। এই সময়কার শেষ দিকে তিন জেলার কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

 

জানতে চাইলে বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেট অঞ্চলে সাধারণত মে মাসের শেষের দিকে আকস্মিক বন্যা হয়। পাহাড় কাছে থাকায় ঢল চলে আসে। তার আগে মানুষজন বোরো ধান তুলে আনে। কিন্তু এবার সেখানে ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলে বন্যা হয়ে গেছে। ফলে নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বেশি আছে। এ অবস্থায় ফের ভারী বৃষ্টিপাত হলে তা হাওড়াঞ্চলের জন্য বড় ক্ষতি বয়ে আনবে।

 

বুয়েট এবং এফএফডব্লিউসি সূত্র জানায়, ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৮ দিনে আসাম ও মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক অ্যামিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে ২৬১ মিলিলিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ফোরকাস্টস (ইসিএমডব্লিউএফ) প্রকাশিত বৃষ্টির মডেল পূর্বাভাস বলছে, প্রায় ৬৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

 

গত সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উজানের কোনো কোনো জেলায় নদ-নদীতে কিছু বৃষ্টির পানি রয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস সঠিক হলে মাঝারি আকারের বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিতে পারে মনে করেন বন্যা বিশেষজ্ঞরা, যদিও তা বড় আকার নাও হতে পারে। ইউরোপিয়ান সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হলে অনেক বড় বন্যা হতে পারে।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে : ফারুক

» ‘জুলাই স্পিরিটের’ প্রতারণাকারীরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন : শিবির সভাপতি

» শুধুমাত্র ইসরায়েল ছাড়া ভারতের পাশে আজ কেউ নেই : পাকিস্তান

» আমার বিরুদ্ধে মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার করছে : আসিফ নজরুল

» আ.লীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে তথ্য উপদেষ্টার ‘কয়েকটি কথা’

» আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশে জনতার ঢল, এখনও চলছে বিক্ষোভ

» প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়

» আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সাগর গ্রেপ্তার

» আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংলাপ চান: রাশেদ খান

» আ. লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সেটি বিএনপির বিষয় নয় : মঈন খান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সপ্তাহের শেষে তিন জেলায় আকস্মিক বন্যা হতে পারে

ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক অববাহিকা এবং মেঘালয় রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। সেই ভারি বৃষ্টির ফলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা সম্পর্কিত আট দিনের বিশেষ প্রতিবেদনে বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়।

 

প্রতিবেদনে আগাম বন্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ১০ থেকে ১৭ এপ্রিল উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই ভারীর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার সুরমা, কুশিয়ারা, যদুকাটা, লুভাছড়া, সারিগোয়াইন, ধলাগাং, পিয়াইন, ঝালুখালি, সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস, ধনু-বাউলাই নদ-নদীতে পানির সমতল বেড়ে যেতে পারে। এই সময়কার শেষ দিকে তিন জেলার কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

 

জানতে চাইলে বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেট অঞ্চলে সাধারণত মে মাসের শেষের দিকে আকস্মিক বন্যা হয়। পাহাড় কাছে থাকায় ঢল চলে আসে। তার আগে মানুষজন বোরো ধান তুলে আনে। কিন্তু এবার সেখানে ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলে বন্যা হয়ে গেছে। ফলে নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বেশি আছে। এ অবস্থায় ফের ভারী বৃষ্টিপাত হলে তা হাওড়াঞ্চলের জন্য বড় ক্ষতি বয়ে আনবে।

 

বুয়েট এবং এফএফডব্লিউসি সূত্র জানায়, ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৮ দিনে আসাম ও মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক অ্যামিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে ২৬১ মিলিলিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ফোরকাস্টস (ইসিএমডব্লিউএফ) প্রকাশিত বৃষ্টির মডেল পূর্বাভাস বলছে, প্রায় ৬৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

 

গত সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উজানের কোনো কোনো জেলায় নদ-নদীতে কিছু বৃষ্টির পানি রয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস সঠিক হলে মাঝারি আকারের বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিতে পারে মনে করেন বন্যা বিশেষজ্ঞরা, যদিও তা বড় আকার নাও হতে পারে। ইউরোপিয়ান সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হলে অনেক বড় বন্যা হতে পারে।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com