সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক :বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাবোধ করছি। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বাক স্বাধীনতা থাকে না। নির্বাচিত সরকার না থাকলে উন্নয়ন থাকে না। তাই শিগগিরই নির্বাচন না দিলে জুলাই আন্দলনের রক্তত্যাগ বৃথা যাবে। সংস্কারের নামে নির্বাচন ঝুলিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বতর্মান সরকার অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। এর অর্থ এটি অস্থায়ী সরকার। জনগণ চায় স্থায়ী সরকার। আমরা ২০২৩ সালেই প্রথম ৩১ দফার সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। বর্তমান সরকার ওই ৩১ দফার বাহিরে সংস্কারের জন্য নতুন কোন দফা বের করতে পারেননি। তাই সংস্কার সংস্কার করে যে দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়, তাদের জন্য কেন নির্বাচন পেছানো হবে।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে শহরের সূত্রাপুর সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তারা চলতি বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচিত সরকারের জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা আশাহত হয়েছি। এরশাদের জন্য গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে। এক এগারোর জন্য গণতন্ত্র ব্যহত হয়েছে। এরপর টানা ১৫ বছর আমরা ডান বাম মধ্যপন্থা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এই আন্দোলনে জুলাই বিপ্লবে সফলতা এসেছে। গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। আমরা ডা. ইউনূস সরকারকে স্বাগত জানিয়েছি। সহযোগিতা করেছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার যে তালবাহানা করছে তাতে আমরা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যদি গণতন্ত্র বাক স্বাধীনতা ও নির্বাচিত সরকার না পাই। তাহলে জুলাই আন্দোলনের রক্ত ও আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা বগুড়ায় তিনটি সেমিনার ও তারুণ্যের সমাবেশে বিশাল উপস্থিতি আমাকে আশাবাদি করেছে আমাদের আন্দোলন ও রক্তদান, আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূস নি:সন্দেহে একজন গুণি মানুষ। তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। কিন্তু নাতির বয়সী উপদেষ্টা ও পরামর্শকদের কারণে উনি কিছু ভুল করছেন। এটা সংশোধন হওয়া উচিত। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বললে মানুষকে গুম করা হয়েছে। খালের ধারে বিলের ধারে নদীর পাড়ে প্রতিবাদী মানুষের লাশ পড়ে ছিল। সে জন্যই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন। ছাত্রদল নেতা সাম্যের লাশ পড়ে গেল। ছাত্রদল তার প্রতিবাদ করবে না। মব জাস্টিসের নামে বিনা বিচারে মানুষকে মারধর করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বলা যাবে না? এটা কেমন কথা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এর সঞ্চালানায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মাহমুদ ইয়াহিয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, এ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকতসহ আরো অনেকে।