ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক : জয়পুরহাটের কালাইয়ে শ্যালকের চাকুর আঘাতে দুলাভাই সহিফুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। ওই ঘটনার পর শ্যালক পালানোর সময় জনতা তাকে আটক করেন।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পুনট পাঁচপাইকা পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক শ্যালককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত দুলাভাই সহিফুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের আপসোন গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। আর ঘাতক শ্যালক জুয়েল রানা (৩২) পুনট পাঁচপাইকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জলিল হোসেনের ছেলে। তারা দুজন সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, ঘাতক জুয়েলের বাবা আবুল কাশেম পারিবারিক বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর তিন জামাই ও ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। সেখানে ছেলে জুয়েলের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনার একপর্যায়ে জুয়েলকে মাদক পূর্ণবাসন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে তার দুলাভাইকে গালিগালাজ করতে থাকে। জুয়েল বাড়ির বাহিরে আসতে চাইলে তিন দুলাভাই তাকে বাঁধা দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে ঘরের ভিতরে গেলে তখন তাঁর দুলাভাইরাও ঘরে যান। এসময় জুয়েল হাতে একটি চাকু নিয়ে ঘরের ভিতরেই সবার সামনেই তার দুলাভাই সহিফুল ইসলামকে বগলের নিচে আঘাত করে। সাথে সাথে তিনি মাটিতে পড়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জনগণ উত্তেজিত হয়ে জুয়েলকে খুজতে থাকে। এরপর জুয়েল পালানোর সময় মাঠ থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে।ঘটনার পর ঘাতক জুয়েলকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।