শৈশবের সোনালী দিনগুলো

শওকত জামান: শৈশবের দুরন্তবেলায় কতো রঙে দেখেছি জীবনকে। রঙধনুর সাত রঙে এঁকেছি জীবনের ছবি। নানা রকমের দিনগুলো। শৈশব মানেই দুরন্তপনা। শৈশব মানেই স্মৃতি ও স্বপ্ন-জাগানিয়া সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাটানো সময়। সেই হারানো ধুলোমাখা দিনগুলো আজো রঙিন হয়ে ভেসে উঠে স্বৃতির ক্যানভাসে। আমি হারিয়ে যায় নস্টালজিক দিনগুলোতে।

 

আমরা শৈশবে পেয়েছিলাম গ্রামীণ আবহে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়ানো জামালপুর শহর। আমার বাড়ি শহরের মিয়াপাড়ায়। আমাদের গ্রামের চারপাশে ছিল নদীনালা, খালবিলসহ দিগন্তজোড়া ফসলি মাঠ। পুরো গ্রামীণ পরিবেশে কেটেছে আমার শৈশব। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতো রঙিন ছিল শৈশবের দিনগুলো। দুরন্তপনায় ভরপুর। ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করেছি দলবেঁধে, বানাকুড়া বিলে শাপলা তুলেছি মুঠোয় মুঠোয়।

শৈশবের ফেলে আসা কিছু খেলা আজো দোলা দিয়ে যায় মনপ্রাণে। শৈশবের খেলাগুলো যেমন ছিল জনপ্রিয় তেমনি স্মৃতিমধুর। শৈশবের দুরন্তপনায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশও হয়েছে। গ্রামীণ খেলা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। একসময় গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বাড়ির পশ্চিম দিকে চামড়াগুদাম মোড় পেরিয়ে ছিল দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। ছেলে বেলায় ফসলের মাঠকে বন্দ বলতাম। উত্তর বন্দে দক্ষিণ বন্দে ঘুড়ি উড়াতাম। ওয়ারলেসের ভেতর মাঠে ফুটবল, মার্বেল ও লাটিম খেলতাম।

বাড়ির সামনের রাস্তায় সাইকেল কিংবা গাড়ির টায়ারকে লাঠি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার সঙ্গে ছুটে চলতাম দুরন্তগতিতে। চালাতাম সুপারি গাছের পাতার গাড়ি। সুপারি গাছের শুকনা পাতার গাড়িতে বসে থাকতাম, সামনে ধুলো উড়িয়ে সেটা টেনে নিয়ে ছুটতো অন্যজন। মনে আছে বিয়ারিং গাড়ির কথা। সাইকেল বা রিকশার বিয়ারিং ও কাঠ দিয়ে বানানো গাড়ির কথা কখনো ভুলার নয়। দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো। গাড়িতে ওঠার জন্য লাইন ধরা। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটে বেড়ানো দিনগুলো এখনো শৈশব মনে করিয়ে দেয়। হালের ঝাঁ-চকচকে গাড়িতে বসে সেসব দিনের কথা ভাবলে শিহরিত হই।

খেলেছি ইচিং বিচিং। ইচিং বিচিং শৈশবের একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠতাম আমরা। ধম নিয়ে হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্দাও খেলেছি। কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছোঁ… এ খেলার নাম শুনে নাই, এমন লোক পাওয়া যাবে খুব কম। আমরা ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে এ খেলায় মেতে উঠতাম।

ওপেন-টু-বায়োস্কোপ, নাইন টেন তেইশ কোপ, সুলতানা বিবিয়ানা, সাহেব-বাবুর বৈঠকখানা, সাহেব বলেছে যেতে পান সুপারি খেতে, পানের আগায় মরিচ বাটা, স্প্রিংয়ের চাবি আঁটা যার নাম মণিমালা, তাকে দিবো মুক্তার মালা। এ লাইনগুলো মনে হলেই ফেলে আসার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।

সমবয়সি কখনো বড়দের সাথে খেলেছি চোর-পুলিশ। চার টুকরো কাগজ। একেকটিতে নম্বরসহ লেখা ‘চোর’, ‘পুলিশ’, ‘ডাকাত’ আর ‘বাবু’। মামুলি সেই কাগজগুলো নিয়েই কেটে যেতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কে চোর হচ্ছে আর কেই-বা বাবু, সেটা নিয়ে অনেক সময় ঝগড়া বেঁধে যেতো। সেই ঝগড়া ছিল কষ্টের মাঝে লুকিয়ে থাকা সুখ।

ছেলেবেলায় আরেকটি মজার খেলা ছিল মুদি দোকান। লাঠি ও নারকেল কিংবা গাছের পাতার ছাউনি দিয়ে বানানো হতো এ দোকান। বাবার কাছ থেকে চকলেট কেনার জমানো টাকায় পুঁজি ছিল এ ব্যবসার। পরে নানারকম মুদিপণ্য বন্ধুদের কাছে একটু বেশি দামে বিক্রি করাই ছিল এ খেলার মাজেজা।

মনে পড়ে গেল বাঁদুরঝোলা খেলার কথা। দলবেঁধে বাঁদুর ঝোলা খেলা খেলতাম। স্বৃতিমধুর হয়ে আছে চড়ুইভাতি খেলা। চড়ুইভাতি বলতে পিকনিক বোঝায়। এ খেলায় চাঁদা দেয়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছুটিকালীন যার যার বাড়ি থেকে রান্নাবান্নার জিনিস এ পিকনিকের আয়োজন করা হতো। এখন আর তা দেখা যায় না। এছাড়াও ডাংগুলি, গুলতি, মোরগ লড়াই, বউ জামাই খেলেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এসব খেলা আজ বড়ই অচেনা।

আমাদের গ্রামে একসময় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। শীতের মৌসুম এলে গাছিরা গাছ কেটে রসের হাড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যেত। গাছ বেয়ে চুরি করে খেজুরের রস খাওয়ার ঘটনা ডানপিটে জীবনে আমারও হয়েছে। খেজুরের গাছের সঙ্গে লাগানো রসের কাঠিতে মুখ দিয়ে খাওয়া যেনো ছিল অমৃত। মাঝে মধ্যে গাছে ঝুলে থাকা হাড়ি থেকেও রস চুরি করে খেয়েছি।

স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে যেতাম, কৃষিফার্মে ঘুরে বেড়াতাম, হলে সিনেমা দেখতে যেতাম আর যেতাম শেরপুর ফেরীঘাটে। একসময় জামালপুর-শেরপুরে যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ফেরি পারাপার। ফেরিতে চেপে যানবহন ও মানুষ পারাপার হতো। তখন মজার ব্যাপার ছিল ফেরিতে চড়ে একবার শেরপুর ঘাটে যেতাম আবার জামালপুর ঘাটে ফিরে আসতাম। এভাবে যাওয়া আসায় স্কুল টাইমের পুরোটা সময় পার করে দিতাম। ফেরিতে ঘটতো নানা মজার মজার ঘটনা। ট্রেনে কাছের স্টেশনগুলোতে রেল ভ্রমণও ছিল স্কুল পালানোর তালিকায়।

হায়রে কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী দিনগুলো আমার। শৈশবের কথা মনে পড়লে আজো নস্টালজিয়ায় ভুগি। স্বৃতিমুখর হয়ে ফিরে যায় বার বার স্বপ্ন চিলের ডানায় মেলে দুরন্ত শৈশবে।

লেখক: শওকত জামান, গণমাধ্যমকর্মী।    সূএ:বাংলাদেশ জার্নাল

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ

» গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত যুবক নিহত

» স্ত্রী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন

» হাইড করা যাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইক শেয়ার

» বিরহের বর্ণমালা

» ‘বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে শিগগির সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ’

» ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন : ফারুক

» লেবাননে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাল ইরান

» ৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

» সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারী নিহত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শৈশবের সোনালী দিনগুলো

শওকত জামান: শৈশবের দুরন্তবেলায় কতো রঙে দেখেছি জীবনকে। রঙধনুর সাত রঙে এঁকেছি জীবনের ছবি। নানা রকমের দিনগুলো। শৈশব মানেই দুরন্তপনা। শৈশব মানেই স্মৃতি ও স্বপ্ন-জাগানিয়া সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাটানো সময়। সেই হারানো ধুলোমাখা দিনগুলো আজো রঙিন হয়ে ভেসে উঠে স্বৃতির ক্যানভাসে। আমি হারিয়ে যায় নস্টালজিক দিনগুলোতে।

 

আমরা শৈশবে পেয়েছিলাম গ্রামীণ আবহে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়ানো জামালপুর শহর। আমার বাড়ি শহরের মিয়াপাড়ায়। আমাদের গ্রামের চারপাশে ছিল নদীনালা, খালবিলসহ দিগন্তজোড়া ফসলি মাঠ। পুরো গ্রামীণ পরিবেশে কেটেছে আমার শৈশব। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতো রঙিন ছিল শৈশবের দিনগুলো। দুরন্তপনায় ভরপুর। ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করেছি দলবেঁধে, বানাকুড়া বিলে শাপলা তুলেছি মুঠোয় মুঠোয়।

শৈশবের ফেলে আসা কিছু খেলা আজো দোলা দিয়ে যায় মনপ্রাণে। শৈশবের খেলাগুলো যেমন ছিল জনপ্রিয় তেমনি স্মৃতিমধুর। শৈশবের দুরন্তপনায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশও হয়েছে। গ্রামীণ খেলা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। একসময় গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বাড়ির পশ্চিম দিকে চামড়াগুদাম মোড় পেরিয়ে ছিল দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। ছেলে বেলায় ফসলের মাঠকে বন্দ বলতাম। উত্তর বন্দে দক্ষিণ বন্দে ঘুড়ি উড়াতাম। ওয়ারলেসের ভেতর মাঠে ফুটবল, মার্বেল ও লাটিম খেলতাম।

বাড়ির সামনের রাস্তায় সাইকেল কিংবা গাড়ির টায়ারকে লাঠি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার সঙ্গে ছুটে চলতাম দুরন্তগতিতে। চালাতাম সুপারি গাছের পাতার গাড়ি। সুপারি গাছের শুকনা পাতার গাড়িতে বসে থাকতাম, সামনে ধুলো উড়িয়ে সেটা টেনে নিয়ে ছুটতো অন্যজন। মনে আছে বিয়ারিং গাড়ির কথা। সাইকেল বা রিকশার বিয়ারিং ও কাঠ দিয়ে বানানো গাড়ির কথা কখনো ভুলার নয়। দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো। গাড়িতে ওঠার জন্য লাইন ধরা। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটে বেড়ানো দিনগুলো এখনো শৈশব মনে করিয়ে দেয়। হালের ঝাঁ-চকচকে গাড়িতে বসে সেসব দিনের কথা ভাবলে শিহরিত হই।

খেলেছি ইচিং বিচিং। ইচিং বিচিং শৈশবের একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠতাম আমরা। ধম নিয়ে হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্দাও খেলেছি। কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছোঁ… এ খেলার নাম শুনে নাই, এমন লোক পাওয়া যাবে খুব কম। আমরা ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে এ খেলায় মেতে উঠতাম।

ওপেন-টু-বায়োস্কোপ, নাইন টেন তেইশ কোপ, সুলতানা বিবিয়ানা, সাহেব-বাবুর বৈঠকখানা, সাহেব বলেছে যেতে পান সুপারি খেতে, পানের আগায় মরিচ বাটা, স্প্রিংয়ের চাবি আঁটা যার নাম মণিমালা, তাকে দিবো মুক্তার মালা। এ লাইনগুলো মনে হলেই ফেলে আসার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।

সমবয়সি কখনো বড়দের সাথে খেলেছি চোর-পুলিশ। চার টুকরো কাগজ। একেকটিতে নম্বরসহ লেখা ‘চোর’, ‘পুলিশ’, ‘ডাকাত’ আর ‘বাবু’। মামুলি সেই কাগজগুলো নিয়েই কেটে যেতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কে চোর হচ্ছে আর কেই-বা বাবু, সেটা নিয়ে অনেক সময় ঝগড়া বেঁধে যেতো। সেই ঝগড়া ছিল কষ্টের মাঝে লুকিয়ে থাকা সুখ।

ছেলেবেলায় আরেকটি মজার খেলা ছিল মুদি দোকান। লাঠি ও নারকেল কিংবা গাছের পাতার ছাউনি দিয়ে বানানো হতো এ দোকান। বাবার কাছ থেকে চকলেট কেনার জমানো টাকায় পুঁজি ছিল এ ব্যবসার। পরে নানারকম মুদিপণ্য বন্ধুদের কাছে একটু বেশি দামে বিক্রি করাই ছিল এ খেলার মাজেজা।

মনে পড়ে গেল বাঁদুরঝোলা খেলার কথা। দলবেঁধে বাঁদুর ঝোলা খেলা খেলতাম। স্বৃতিমধুর হয়ে আছে চড়ুইভাতি খেলা। চড়ুইভাতি বলতে পিকনিক বোঝায়। এ খেলায় চাঁদা দেয়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছুটিকালীন যার যার বাড়ি থেকে রান্নাবান্নার জিনিস এ পিকনিকের আয়োজন করা হতো। এখন আর তা দেখা যায় না। এছাড়াও ডাংগুলি, গুলতি, মোরগ লড়াই, বউ জামাই খেলেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এসব খেলা আজ বড়ই অচেনা।

আমাদের গ্রামে একসময় প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। শীতের মৌসুম এলে গাছিরা গাছ কেটে রসের হাড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যেত। গাছ বেয়ে চুরি করে খেজুরের রস খাওয়ার ঘটনা ডানপিটে জীবনে আমারও হয়েছে। খেজুরের গাছের সঙ্গে লাগানো রসের কাঠিতে মুখ দিয়ে খাওয়া যেনো ছিল অমৃত। মাঝে মধ্যে গাছে ঝুলে থাকা হাড়ি থেকেও রস চুরি করে খেয়েছি।

স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে যেতাম, কৃষিফার্মে ঘুরে বেড়াতাম, হলে সিনেমা দেখতে যেতাম আর যেতাম শেরপুর ফেরীঘাটে। একসময় জামালপুর-শেরপুরে যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ফেরি পারাপার। ফেরিতে চেপে যানবহন ও মানুষ পারাপার হতো। তখন মজার ব্যাপার ছিল ফেরিতে চড়ে একবার শেরপুর ঘাটে যেতাম আবার জামালপুর ঘাটে ফিরে আসতাম। এভাবে যাওয়া আসায় স্কুল টাইমের পুরোটা সময় পার করে দিতাম। ফেরিতে ঘটতো নানা মজার মজার ঘটনা। ট্রেনে কাছের স্টেশনগুলোতে রেল ভ্রমণও ছিল স্কুল পালানোর তালিকায়।

হায়রে কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী দিনগুলো আমার। শৈশবের কথা মনে পড়লে আজো নস্টালজিয়ায় ভুগি। স্বৃতিমুখর হয়ে ফিরে যায় বার বার স্বপ্ন চিলের ডানায় মেলে দুরন্ত শৈশবে।

লেখক: শওকত জামান, গণমাধ্যমকর্মী।    সূএ:বাংলাদেশ জার্নাল

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com