ছবি সংগৃহীত
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের বাণিজ্যিক খাতে উন্নয়ন এবং করাপশন মোকাবিলায় গুরুত্ব আরোপ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন আজ এফবিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ৩৩ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে আজকে দ্বিতীয় দিন এফবিসিসিআইতে এসে তিনি নতুন বাস্তবতা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। বশির উদ্দিন বলেন, “আমাদেরকে গ্রাজুয়েট হতে হবে এবং আমাদের অর্থনীতির বৈচিত্র আনতে হবে। এই বৈচিত্র আনতে, আমাদেরকে প্রয়োজনীয় নিয়ামকগুলোকে আরও ভালভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং সঠিকভাবে বুঝতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এমন একটি কর্মপরিকল্পনায় অংশ নিতে হবে, যেখানে আমরা সরকারের সাথে নেগোসিয়েশন করতে পারব এবং পলিসি সমর্থন পাওয়ার জন্য কৌশল তৈরি করতে পারব। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি, যেখানে আমরা একে অপরকে ফ্রাগমেন্টেড অবস্থায় দেখছি, তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের স্বার্থে উপকারী হবে না।
শেখ বশির উদ্দিন জানান, “যখন আমি এসব কথা শুনি, তখন আমার মনে আসে রাসেল ভাইপার সাপের কথা, যে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়।” তার মতে, “এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা যদি চালু থাকে, তবে করাপশন কমানোর প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে সফল হবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আমাদের দেশ থেকে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে এবং এখন দেশে এই পরিমাণ টাকা চুরি হচ্ছে না। করাপশন শেষ হওয়া খুবই কঠিন, তবে এটি কঠিন না হলে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি নকল হওয়া জিনিস, ইউএস ডলার, কখনোই থামানো সম্ভব নয়। তবে আমরা যদি এটি কঠিন করে ফেলি, ইনশাআল্লাহ, এটি ধীরে ধীরে কমবে এবং আরও কমবে।
এসময়, তিনি এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেন, “এটি একটি ক্রিটিক্যাল অঙ্গীকার, যা আমাদের দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে সুশাসন ও স্বচ্ছতা আনতে সহায়ক হবে।