ছবি সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা বলতে চাই ভারতের দাদাগিরি মানবো না। তবে ভারত যদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায় তাহলে আমরা রাজি আছি।
আজ নগরীর নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আজ রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
নুর বলেন, পুলিশ এখনো স্বাভাবিক কাজে ফেরেনি। দ্রুত পুলিশকে স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে জনমনে স্বস্তি দিতে হবে। দেশের অর্থনীতি সচল করতে হবে। একজন আওয়ামী লীগ করতে পারে সে যদি কোনো অপরাধ করে তবেই তার দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি হবে। তাই বলে আওয়ামী লীগের মিল ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেওয়া কারোর অধিকার নেই। সবাইকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে নুর বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল সরকার ছিল। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সহযোগিতায় শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালাতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে তিনি ভারতের পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। ভারতকে বলব- কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন তা হলে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
ভারতের ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ভারত নাকি আমাদের কিছু নেতার ভিসা বাতিল করেছে। অভিনেত্রী বাঁধনকে ভিসা দেওয়া হয়নি আমার সঙ্গে ছবি তোলার কারণে। ভারতকে বলবো ভ্রান্তনীতি পরিহার করতে হবে।
নুর বলেন, আজকে গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) নিবন্ধন পেয়েছি। এই কমিশন ২০২৪ সালে ভুয়া নির্বাচনের সহযোগী ছিল। কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তারা চাইলে নিবন্ধন দিতে পারতো কিন্তু তৎকালীন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। আমাকে ট্র্যাক প্রতীক দেওয়া হয়েছে। যাই হোক ট্র্যাক পেয়েছি এই ট্রাক নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে সফরে বের হবো। গতবার নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য কমিশন নানা অযুহাত দেখায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে সবকিছু সংস্কার হচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, পুরাতন জঞ্জাল নতুন প্রজন্ম সরাবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবাদী তারুণ্য কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। কেউ যদি আমার দলের দাবি করে করে তারা পথভ্রষ্ট।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ায় নিবন্ধন পায়নি। তবে আজকে পেয়েছি। ২০২৪ সালে অবৈধ নির্বাচন হয়েছে। আজকে নিবন্ধন পাওয়ায় জনগণের বিজয় হয়েছে।