সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে কমেছে বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি। গত দুদিন ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার করা না হলে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোন ফল আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সাধারণত ভারতীয় আঙুর, কমলা, আনার, আপেলসহ সব ধরনের ফল আমদানি করা হয়। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ধরনের ফলে উচ্চ শুল্ককর ধার্য্য করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকের নীচে নেমেছে। ফলে এ খাত থেকে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রতিদিন এই বন্দর থেকে শুধুমাত্র ফলের আমদানি শুল্ক বাবদ ১৮-২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। ফল আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি টাকায়।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফলের আমদানি খাত থেকে। আসন্ন রমজানে ফলের ওপর নির্ভরশীল দেশের মানুষ। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে আমদানিকারকরা। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি করা হতো। সেটি বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ ট্রাকে নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানিকৃত ফলের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ফলের বাজারে। ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায় ক্রয় ক্ষমতা। উচ্চ শুল্কের কারণে তারা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, গত ২ দিন ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ফলের দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকরা ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে। আমদানিকারকরা ফল আমদানি শুরু করলে বন্দর থেকে সব ধরনের সুবিধা দেয়া হবে।