সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : নতুন ফরম্যাটে শুরু হচ্ছে ফিফার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্লাব বিশ্বকাপ। ১৫ জুন মাঠে গড়াচ্ছে এই বহুল আলোচিত টুর্নামেন্ট। এর প্রাইজমানি ছুঁয়েছে রেকর্ড ১ বিলিয়ন ডলার বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধুমাত্র মাঠের লড়াই নয়, এই বিশাল অর্থনৈতিক বিনিয়োগ নিয়েও ফুটবল বিশ্বে তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা।
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপকে ঘিরে সবচেয়ে বড় চমক হলো চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,৪৫৬ কোটি টাকা)। যা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার প্রাপ্তির তিনগুণেরও বেশি।
টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ছয়টি মহাদেশের ৩২টি ক্লাব। অংশগ্রহণের জন্য শুরুতেই ক্লাবগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে মোট ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে প্রত্যেক ক্লাবকে সমানভাবে এই অর্থ দেওয়া হবে না। ক্লাবগুলোর খেলার মান, জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্যিক প্রভাব অনুযায়ী নির্ধারিত হবে এই অঙ্ক।
উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপের দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি পাবে প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার করে। অপরদিকে, ওশেনিয়া অঞ্চলের অকল্যান্ড সিটি পাবে মাত্র ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স করলে বাড়বে পুরস্কারের অঙ্ক। সম্ভাব্য সাতটি ম্যাচ খেলতে পারবে একটি দল। গ্রুপপর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য মিলবে ২০ লাখ ডলার। ড্র হলে উভয় দল ভাগাভাগি করবে অর্থ।
শেষ ষোলোতে জয় পেলে মিলবে ৭৫ লাখ ডলার, কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য থাকবে ১ কোটি ৩১ লাখ ডলার পুরস্কার। সেমিফাইনালে জেতা দুই দল পাবে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার করে। ফাইনালে হারলে রানার্সআপ দল পাবে ৩ কোটি ডলার। আর শিরোপা জিতলে সর্বোচ্চ পুরস্কার মিলবে — ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।