ছবি সংগৃহীত
বর্ষাকালে ছোট-বড় অনেকেরই পেটের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি পেটের সমস্যায় ভোগে। কিন্তু তারা বড়দের মতো মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই বাবা-মাকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শিশুর পেট খারাপ হলে কিছু ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন। জানুন এসব হোম রেমিডিজ সম্পর্কে।
বর্ষা মানেই কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত। আর খাবার বা পানির মাধ্যমে শরীরে এসব জীবাণু প্রবেশ করলেই বিপদ। সেক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে ডায়রিয়া। আর দুর্ভাগ্যক্রমে বড়দের তুলনায় ছোটরাই এই সমস্যায় বেশি পড়ে। তাদের পানির মতো পায়খানা হয়। সেই সঙ্গে পেটে ব্যথা এবং বমি থাকতে পারে।
তবে এমন পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধিতে সন্তানকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না। তাতে শরীরের হাল আরও বিগড়ে যেতে পারে। বরং এসব ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগান। তাতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফল মিলবে।
তাই আর সময় নষ্ট না করে সেসব হোম রেমেডিজ সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। তারপর বিপদে পড়লে এদের শরণাপন্ন হন। তাহলেই মিলবে উপকার।
লবণ চিনির পানি
বারবার পায়খানা হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর এই কারণে ডিহাইড্রেশনের ফাঁদে পড়তে পারে সন্তান। তাই পরিস্থিতি এতটা খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই আপনাকে সাবধান হতে হবে। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিনি এবং এক চিমটে লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর এই পানীয় সন্তানকে ধীরে ধীরে পান করতে বলুন। তাতেই তার শরীরে পানির পাশাপাশি খনিজের ঘাটতিও পূরণ হবে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে সন্তান।
ওআরএস-এর জুড়ি নেই
মনে রাখবেন, এমন পরিস্থিতিতে একবারে মহৌষধির মতো কাজ করে ওআরএস। তাই সুযোগ থাকলে প্রথমে লবণ চিনির পানি নয়। বরং ছোট্ট সোনাকে ওআরএস পানি করে খাওয়ান। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
একটু পর পর সন্তানকে স্যালাইন খাওয়ান। তাতেই ডায়ারিয়াজনিত সমস্যাকে কিছুটা হলেও বশে আনতে পারবেন। সেই সঙ্গে তার শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে।
পানি পানের বিকল্প নেই
শুধু ওআরএস বা লবণ চিনির পানি খাইয়ে সন্তানকে এই সমস্যা থেকে সারিয়ে তুলতে পারবেন না। বরং তাকে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে পানি পান করাতে হবে। তাতেই তার দেহে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। তবে এই সময় সন্তানকে সাধারণ ফিল্টারের পানি খাওয়াবেন না। তার বদলে পানি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর তা ঠান্ডা করে সন্তানকে রোজ রোজ খাওয়ান। তাতেই উপকার মিলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
দইয়ের শরণাপন্ন হন
সন্তানের মলের বেগ কিছুটা কমে গেলে তাকে খাওয়ান দই। কারণ, এই দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাসের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়াতে পারে। যার ফলে কমে ডায়ারিয়ার প্রকোপ।
তবে ছোট্ট সোনাকে দোকান থেকে কেনা মিষ্টি দই খাওয়ালে তেমন একটা উপকার পাবেন না। বরং তাতে ক্ষতি বেশি। তাই এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে টক দই বানিয়ে তাকে খাওয়ান। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম