ঢাকা, জানুয়ারি ৯, ২০২৫: ভিভো বাংলাদেশ এবং এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজন করেছে ‘ক্যাপচার দ্য ফিউচার – ২০২৫’। ২০২৪ সালে উদ্বোধন হওয়া এই তিন বছরব্যাপী কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) প্রকল্পটির দ্বিতীয় বছরের উইন্টার ক্যাম্প আয়োজন করা হয় খুলনায়।
শিশুদের আধুনিক ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখানোর পাশাপাশি তাদের স্বপ্ন দেখা এবং তা ক্যামেরায় ধারণ করার মাধ্যমে সৃজনশীলতা এবং কল্পনার বিকাশ ঘটানো এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
চলতি বছরের ৭ ও ৮ জানুয়ারি দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিরা উইন্টার ক্যাম্পে ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুলনা ও বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ছবি ধারণ করে।
৯ জানুয়ারি আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে শিশুদের তোলা নির্বাচিত ছবির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে, গত বছরের ছবির একটি স্মৃতিপথ প্রদর্শিত হয়, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সাদিয়া আফরিন। এছাড়া ভিভো বাংলাদেশ এবং পাঠশালা ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘শিশুদের সৃজনশীলতা দেখে আমি সত্যি অভিভূত। প্রযুক্তিগত দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। এই আয়োজনের জন্য আমি ভিভো বাংলাদেশ-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।‘
ভিভো বাংলাদেশ কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ জানান, ‘’ক্যাপচার দ্য ফিউচার – ২০২৫’ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো শিশুদের সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করা এবং ছবি তোলার মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো। ভিভো বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি সবসময় অগ্রগতির চালিকাশক্তি।‘
একইসঙ্গে প্রশিক্ষক তানভীর মুরাদ তপু (হেড অফ ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট) বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এই কর্মশালার মাধ্যমে একটি প্রজন্মের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়া যাবে। প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের গল্প তুলে ধরতে পারবে।‘
ভিভো বাংলাদেশ ও এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস বাংলাদেশ একত্রে কাজ করে বাংলাদেশি শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।