শিশুদের মনোবল বাড়াতে যা করবেন

সন্তান নিয়ে প্রত্যেক বাবা-মায়ের কিছু সুন্দর স্বপ্ন থাকে। সন্তান সুন্দরভাবে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে বেড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা থাকে তাদের। বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। 

 

গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শিশুর মনোবল বাড়াতে তার পরিবার ও পিতামাতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলাও। শারীরিক বলের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বল বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিশুদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো-

সব সময় কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থা থেকে শিশুদের দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোনো সমস্যা হলে শিশুদের কিছু কিছু সময়ে সেগুলো মোকাবিলার সুযোগ দিন। দেখুন তারা সেগুলো সফলভাবে সমাধান করতে পারে কিনা। এর ফলে তাদের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বা প্রতিকূল পরিবেশে মনোবল ধরে  রাখার সাহস সৃষ্টি হবে।

 

শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয় এবং সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় উৎসাহিত করতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

 

বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করুন। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

 

ছোট কিংবা বড় যে কোনো সাফল্যে শিশুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করুন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, প্রশংসা উৎসাহ বৃদ্ধির প্রথম সোপান। অর্থাৎ যখন শিশুরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎসাহিত হবে তখন তারা আরো বড় চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস ও বিপদ মোকাবিলা করার মনোবল পাবে।

 

পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শিশুদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যাতে তারা বিপদে ভয় নয় বরং সাহসের সঙ্গে বিপদ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে পাঁচ মণ ওজনের ‘পাখি মাছ

» খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল

» ঢামেকের মর্গে পড়ে আছে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহ

» সংস্কার না করলে ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ এর মতো নির্বাচন হবে: গোলাম পরওয়ার

» ২৪–এর ঘোষণাপত্রে খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ: সারজিস

» দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল

» ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশা

» গৃহবধূ হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার

» আমি মানুষ দেবতা নই, আমারও ভুল হয় : মোদি

» দেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিশুদের মনোবল বাড়াতে যা করবেন

সন্তান নিয়ে প্রত্যেক বাবা-মায়ের কিছু সুন্দর স্বপ্ন থাকে। সন্তান সুন্দরভাবে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে বেড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা থাকে তাদের। বাবা-মা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। 

 

গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শিশুর মনোবল বাড়াতে তার পরিবার ও পিতামাতার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যত্ন বা বিকাশ ত্বরান্বিত করা মানে শুধু তাদের স্বাস্থ্যের বা শিক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়া নয় বরং তাদেরকে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলাও। শারীরিক বলের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বল বৃদ্ধি করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে শিশুদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো-

সব সময় কঠিন বা প্রতিকূল অবস্থা থেকে শিশুদের দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোনো সমস্যা হলে শিশুদের কিছু কিছু সময়ে সেগুলো মোকাবিলার সুযোগ দিন। দেখুন তারা সেগুলো সফলভাবে সমাধান করতে পারে কিনা। এর ফলে তাদের মাঝে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বা প্রতিকূল পরিবেশে মনোবল ধরে  রাখার সাহস সৃষ্টি হবে।

 

শিশুরা স্বভাবতই বিভিন্ন গল্প শুনতে আগ্রহী হয় এবং সেই গল্পের নায়ক বা হিরোদের মতো করে নিজেদেরকে কল্পনা করে। তাই তাদের সামনে যদি অভিভাবক বা শিক্ষকেরা নিজেদের জীবনের সাহসী হয়ে ওঠার গল্পগুলো যেগুলো শিশুদেরকেও ঝুঁকি মোকাবেলায় উৎসাহিত করতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করে তাহলে শিশুরা সাহসী হয়ে ওঠার উৎসাহ পাবে। তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

 

বড় সমস্যাগুলো শিশুদের ছোট ছোট ধাপে সমাধান করতে সহায়তা করুন। এই ছোট ছোট ধাপগুলো তাদের মনোবল বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

 

ছোট কিংবা বড় যে কোনো সাফল্যে শিশুদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করুন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, প্রশংসা উৎসাহ বৃদ্ধির প্রথম সোপান। অর্থাৎ যখন শিশুরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎসাহিত হবে তখন তারা আরো বড় চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস ও বিপদ মোকাবিলা করার মনোবল পাবে।

 

পিতামাতা বা অভিভাবক কিংবা শিক্ষকেরা সব সময়ই কোমলমতি শিশুদের সব ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। এতে করে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শিশুদের মাঝে যদি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলার মনোবল না থাকে তাহলে কখনোই তারা জীবনে সফল হতে পারবে না। তাই শিশুদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত। যাতে তারা বিপদে ভয় নয় বরং সাহসের সঙ্গে বিপদ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com