আমাদের সমাজে এখন বেশিরভাগ একক পরিবারই দেখা যায়। পরিবারে দাদা দাদি থাকাটাই জামেলা বলে মনে করা হয়। কিন্তু জানেন কি, তাদের সাথে রাখাটা আপনার সন্তানদের জন্য কতটা উপকারি। দাদা-দাদি বাড়িতে থাকা মানে সন্তানের খেয়াল ও যত্ন নেয়ার দায়িত্ব অনেকটাই উনাদের। উনাদের মাধ্যমেই বাচ্চারা তার পারিবারিক ইতিহাস জানতে পারে। তবে অনেকেরই দাদা দাদির সঙ্গ পাওয়ার সৌভাগ্য হয় না। কিন্তু বাচ্চার সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শুধু বাবা-মা নয়, দাদা-দাদির সঙ্গও সমান জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে-
দাদা-দাদির কাছ থেকে একটা ছোট ছেলে বা মেয়ে তার পারিবারিক ইতিহাস জানতে পারে। যা বড় হয়ে তাদের মানসিকতা গড়ে তোলার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পারিবারিক ইতিহাস তাকে নিজেকে চিনতে শেখাবে, নিজের শিকড় খুঁজতে শেখাবে।
ন্যয়-নীতি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং আবেগের প্রথম পাঠ বাচ্চারা দাদা-দাদির কাছ থেকেই পায়। বাবা-মা যখন হাজার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তখন তারাই নাতি-নাতনির কাছে বন্ধুর মতো মিশে তাদের মনের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া উনাদের সঙ্গে সময় কাটালে বাচ্চারা বয়স্কদের সম্মান করতে শিখবে এবং খেয়াল রাখতে শিখবে।
নাতি-নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারলে উনাদের বয়সজনিত অবসাদের গ্রাসে পড়তে হয় না। একাকিত্ব থেকেই এই অবসাদের জন্ম হয়। তাই নাতি-নাতনির সঙ্গ তাদের একা বোধ করতে দেয় না।