শিশুকে কাঁদাতে পারলেই মিলবে পুরস্কার

সংগৃহীত ছবি

 

শিশুর কান্না থামানো খুব সহজ কাজ নয়। সাধারণত কোনো বাবা-মা তার সন্তানদের কান্না পছন্দ করেন না। সবসময় আপ্রাণ চেষ্টা করেন শিশু যেন কান্না না করে। তবে জাপানে রীতিমত উৎসব করেই শিশুদের কাঁদানোর আয়োজন করা হয়। হ্যাঁ, প্রতিবছর জাপানে পালিত হয় ব্যতিক্রম উৎসব ‘নাকি সুমো’।

 

এ উৎসব ৪০০ বছরের পুরোনো। গোটা জাপানেই বেশ আয়োজন করে পালিত হয় দিনটি। অবশ্য অঞ্চলভেদে পাল্টে যায় উৎসবের ধরণ। কথিত আছে, শিশুদের অশুভ আত্মার হাত থেকে বাঁচাতে সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় এই উৎসব পালন করা হয়।

এই উৎসবের একটি প্রতিযোগিতায় কুস্তিগিরেরা নানারকম মুখভঙ্গি ও আওয়াজ করে শিশুদের ভয় দেখায়। যে শিশু প্রথম কেঁদে ওঠে সেই বিজয়ী ঘোষিত হয়। পুরোদস্তুর প্রথাগত পোশাক পরা সুমো রেফারি কাঠের ফ্যান তুলে সংশ্লিষ্ট বাচ্চাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

 

মহামারির চার বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই উৎসব। হাজার হাজার মানুষ এতে যোগ দিয়েছেন। শিশুদের পরানো হয় জাপানের প্রথাগত সুমো অ্যাপ্রন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা আসে টোকিওর সেনসোজি মন্দিরের সুমো রিংয়ে। আয়োজকেরা জানান, এবছর ৬৪টি বাচ্চা যোগ দিয়েছে উৎসবে।

পিতামাতা এবং দর্শকদের আনন্দের জন্য ‘নাকি সুমো’ দেশব্যাপী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা বলেন, অনেকেই মনে করেন যে শিশুদের এভাবে কাঁদানো একটি ভয়ানক কাজ। কিন্তু জাপানে বিশ্বাসকরা হয় যে শিশুরা খুব জোরে কাঁদে তারা অন্য শিশুদের তুলনায় সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।  সূত্র: এনডিটিভি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

» ঝটিকা মিছিল আয়োজনকারী আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেফতার

» শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়া

» আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম

» জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলায় গণঅধিকার জড়িত নয়: রাশেদ খাঁন

» সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের দলই পিআর মানছে না: জামায়াতের নূরুল ইসলাম

» দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আনিসুল

» ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না চাইলে ভালো রাজনীতি করতে বললেন সালাহউদ্দিন

» নুরাল পাগলার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা নিন্দনীয়: আখতার হোসেন

» কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: ডা. জাহিদ হোসেন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিশুকে কাঁদাতে পারলেই মিলবে পুরস্কার

সংগৃহীত ছবি

 

শিশুর কান্না থামানো খুব সহজ কাজ নয়। সাধারণত কোনো বাবা-মা তার সন্তানদের কান্না পছন্দ করেন না। সবসময় আপ্রাণ চেষ্টা করেন শিশু যেন কান্না না করে। তবে জাপানে রীতিমত উৎসব করেই শিশুদের কাঁদানোর আয়োজন করা হয়। হ্যাঁ, প্রতিবছর জাপানে পালিত হয় ব্যতিক্রম উৎসব ‘নাকি সুমো’।

 

এ উৎসব ৪০০ বছরের পুরোনো। গোটা জাপানেই বেশ আয়োজন করে পালিত হয় দিনটি। অবশ্য অঞ্চলভেদে পাল্টে যায় উৎসবের ধরণ। কথিত আছে, শিশুদের অশুভ আত্মার হাত থেকে বাঁচাতে সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় এই উৎসব পালন করা হয়।

এই উৎসবের একটি প্রতিযোগিতায় কুস্তিগিরেরা নানারকম মুখভঙ্গি ও আওয়াজ করে শিশুদের ভয় দেখায়। যে শিশু প্রথম কেঁদে ওঠে সেই বিজয়ী ঘোষিত হয়। পুরোদস্তুর প্রথাগত পোশাক পরা সুমো রেফারি কাঠের ফ্যান তুলে সংশ্লিষ্ট বাচ্চাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

 

মহামারির চার বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই উৎসব। হাজার হাজার মানুষ এতে যোগ দিয়েছেন। শিশুদের পরানো হয় জাপানের প্রথাগত সুমো অ্যাপ্রন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা আসে টোকিওর সেনসোজি মন্দিরের সুমো রিংয়ে। আয়োজকেরা জানান, এবছর ৬৪টি বাচ্চা যোগ দিয়েছে উৎসবে।

পিতামাতা এবং দর্শকদের আনন্দের জন্য ‘নাকি সুমো’ দেশব্যাপী মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা বলেন, অনেকেই মনে করেন যে শিশুদের এভাবে কাঁদানো একটি ভয়ানক কাজ। কিন্তু জাপানে বিশ্বাসকরা হয় যে শিশুরা খুব জোরে কাঁদে তারা অন্য শিশুদের তুলনায় সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।  সূত্র: এনডিটিভি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com