শাসক ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায় করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী হন তার হাতে পুরো ক্ষমতা। আর তিনি পুরো রাষ্ট্রটা পকেটে ঢুকিয়ে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন। এটাই কি আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, এটাই কি ৭২ সাল থেকে এদেশের অভিজ্ঞতা হয়নি। এরা শুধু স্টিম রোলার চালিয়েছে তা নয়, সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এমনকি ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছিল। এজন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এসেছিল, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক টেকে নাই।

 

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের নিরালা মোড়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে ‘জুলাই সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আর টেকে নাই বলে; আমরা দেখেছি কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন; কিন্তু ২০০৮ সালে এসে পুরোনো গিলে খাওয়ার এই যে চেষ্টা সেটাকে সে পূর্ণরূপ দিতে চেয়েছে। ২০১১ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল সেটাকেই ফোকাস করে তুললো। অর্থাৎ এই যে এদেশের জমিদারি তারা চালাবেন, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গত ২০১১ সাল থেকে লড়াই করেছে। একেবারে সরাসরি এই ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, কর্তৃত্ববাদ স্বৈরতন্ত্র কায়েম চেষ্টার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আমরা আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার বলেছি, শাসককে বিদায় করতে হবে। এই বিদায় এরআগেও আমরা করেছি। কিন্তু আগে যেটা পারেনি, শাসকের সাথে সাথে শাসন ব্যবস্থা, ফ্যাসিবাদের সাথে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা, তাকে বিদায় করা— এইবার সেইটা আমাদের সংগ্রাম।

 

সাকি আরও বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে বলেছি বাংলাদেশের সংবিধানিক গণতান্ত্রিক করণ, অর্থাৎ একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা না করে এই ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে, এই স্বৈরাচার থেকে, কর্তৃত্ববাদ থেকে আমরা মুক্তি পাব না। আমরা দেখলাম ২০১৪ সালে একটি তামাশার নির্বাচন এবং তারপরে আমরা জোরের সাথে বলেছি, এখন বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং এই কারণেই ফ্যাসিবাদী শাসক যদি বদলাতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এই লড়াইয়ে আর আসবে না।

 

জুলাই সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোফাখখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও সংগঠক ফাতেমা রহমান বীথিসহ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতরাও বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রধান অতিথি জোনায়েদ সাকি টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে মাজার জিয়ারত করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

» মির্জা ফখরুলের সঙ্গে নেজামে ইসলাম পার্টির বৈঠক

» সব দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নির্বাচন দিলে গ্রহণযোগ্য হবে না: আখতার

» শাসক ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায় করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

» ‘অনেক ঘটনায় ২০ জন আসামি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০০ জনকে করা হয়েছে’

» রাষ্ট্রের মূলনীতিতে আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস প্রতিস্থাপন চায় জামায়াত

» ‘চাঁদাবাজি যেই করুক, কোনো ছাড় নয় : আমিনুল হক

» রিয়াদ নামে কোনো ছাত্র প্রতিনিধির অস্তিত্ব নেই : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

» আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

» ইরানিদের রক্ত বৃথা যাবে না: খামেনি

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শাসক ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায় করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী হন তার হাতে পুরো ক্ষমতা। আর তিনি পুরো রাষ্ট্রটা পকেটে ঢুকিয়ে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন। এটাই কি আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, এটাই কি ৭২ সাল থেকে এদেশের অভিজ্ঞতা হয়নি। এরা শুধু স্টিম রোলার চালিয়েছে তা নয়, সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এমনকি ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছিল। এজন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এসেছিল, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক টেকে নাই।

 

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের নিরালা মোড়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে ‘জুলাই সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আর টেকে নাই বলে; আমরা দেখেছি কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন; কিন্তু ২০০৮ সালে এসে পুরোনো গিলে খাওয়ার এই যে চেষ্টা সেটাকে সে পূর্ণরূপ দিতে চেয়েছে। ২০১১ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল সেটাকেই ফোকাস করে তুললো। অর্থাৎ এই যে এদেশের জমিদারি তারা চালাবেন, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি।

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গত ২০১১ সাল থেকে লড়াই করেছে। একেবারে সরাসরি এই ফ্যাসিবাদী প্রবণতা, কর্তৃত্ববাদ স্বৈরতন্ত্র কায়েম চেষ্টার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আমরা আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার বলেছি, শাসককে বিদায় করতে হবে। এই বিদায় এরআগেও আমরা করেছি। কিন্তু আগে যেটা পারেনি, শাসকের সাথে সাথে শাসন ব্যবস্থা, ফ্যাসিবাদের সাথে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা, তাকে বিদায় করা— এইবার সেইটা আমাদের সংগ্রাম।

 

সাকি আরও বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে বলেছি বাংলাদেশের সংবিধানিক গণতান্ত্রিক করণ, অর্থাৎ একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা না করে এই ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে, এই স্বৈরাচার থেকে, কর্তৃত্ববাদ থেকে আমরা মুক্তি পাব না। আমরা দেখলাম ২০১৪ সালে একটি তামাশার নির্বাচন এবং তারপরে আমরা জোরের সাথে বলেছি, এখন বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং এই কারণেই ফ্যাসিবাদী শাসক যদি বদলাতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এই লড়াইয়ে আর আসবে না।

 

জুলাই সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোফাখখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও সংগঠক ফাতেমা রহমান বীথিসহ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতরাও বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রধান অতিথি জোনায়েদ সাকি টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে মাজার জিয়ারত করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com