সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে রবিবার সকালে বৈঠক করেছে। বৈঠকে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা ছাড়াও অংশ নেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং যুগ্ম অভিযোগকারী খালিদ সাইফুল্লাহ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা জানান, “আমরা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ঘোষিত প্রতীক তালিকা থেকে ‘নৌকা’ প্রতীকটি এখনো বাদ দেওয়া হয়নি, যদিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ অবস্থায় আইনগতভাবে তাদের প্রতীক তালিকায় রাখা সমীচীন নয়।” কমিশন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতীক ইস্যুতে আরও বলেন, “আমরা তিনটি প্রতীক—শাপলা, কলম ও মোবাইল—চেয়েছি বটে, তবে আমাদের মূল ও একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শাপলা প্রতীকটি আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হোক।”
তিনি জানান, “যদিও এর আগে নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, তবে নিবন্ধনের সময় তারা কেটলি প্রতীক পেয়েছে। এখন তারা যদি নতুন প্রতীক চায়, তাহলে নিয়মমাফিক নতুন আবেদন করতে হবে। সেখানে আমরা নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আইনি দিক থেকে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।”
জহিরুল ইসলাম আরও জানান, “গত ২২ জুন আমরা ৪৩,৩১৬ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ দরখাস্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। তার অগ্রগতি জানতে চেয়েছি এবং প্রয়োজনে আরও কোনো তথ্য বা নথি লাগলে আমাদের জানাতে অনুরোধ করেছি।” প্রবাসী ভোটারদের জন্য প্রস্তাবিত তিনটি ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে কমিশনের অগ্রগতি সম্পর্কেও প্রতিনিধি দল জানতে চায়।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জহিরুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আমরা কখনোই কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করি না।”
প্রতিনিধি দল জানায়, প্রতীক তালিকা থেকে শাপলা বাদ যাওয়ায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। কমিশন বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে দেখবে বলে আশ্বস্ত করেছে।