শবে বরাতে তৈরি করুন ১৫ পদের হালুয়া

পবিত্র শবে বরাতে আমরা অনেকেই ইবাদতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি। আর এই রান্নার বড় একটা অংশ নানা স্বাদের হালুয়া। জেনে নিন বেশ কিছু হালুয়া তৈরির পদ্ধতি। শবে বরাতে সুজি বা বুটের হালুয়া তো বাড়িতে হবেই। এর সঙ্গে ভিন্নতা আনতে অন্য রকম হালুয়াও বানাতে পারেন। আসুন জেনে নেই কিছু ভিন্ন স্বাদের হালুয়ার রেসিপি।

১. ডিমের দরবারি হালুয়া

উপকরণ :

মুরগির ডিম ৬টি,

গুঁড়া দুধ ২ কাপ,

চিনি ২ কাপ,

কাজুবাটা পৌনে এক কাপ,

মালাই আধা কাপ,

কেওড়া ১ টেবিল চামচ, এ

লাচগুঁড়া আধা চা-চামচ,

ঘি আধা কাপ।

প্রণালি: ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে হবে। হালুয়া প্যানের গা ছেড়ে এলে ডিশে ঢেলে ঠাণ্ডা করে পছন্দ মতো আকারে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে।

২. পেঁপের হালুয়া

উপকরণ :

কাঁচা পেঁপে ১ কেজি,

চিনি ৩ কাপ,

ঘি আধা কাপ,

কেওড়া ১ টেবিল-চামচ,

দারচিনি গুঁড়ো আধা চা-চামচ,

এলাচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ,

পেস্তাবাদাম-কিশমিশ সিকি কাপ,

সবুজ ফুড কালার সামান্য।

প্রণালি : পেঁপে সবজি কোরানি দিয়ে ঝুরি করে অল্প পানি দিয়ে আধাসেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে পেঁপে দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে চিনি, ফুড কালার, কেওড়া, দারচিনি-এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ভুনতে হবে। হালুয়া ঘির ওপর উঠলে কিছু কিশমিশ ও পেস্তাবাদামকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ডিশে ঢালতে হবে ও ওপরে বাকি পেস্তাবাদামকুচি ছিটিয়ে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে পছন্দ মতো আকারে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে।

৩. চালকুমড়ার হালুয়া

উপকরণ :

খোসা ছাড়ানো ও বিচি বাদ দেওয়া পাকা চালকুমড়ার ছোট ছোট টুকরা ৪ কাপ,

চিনি আড়াই কাপ,

ঘি আধা কাপ,

দারচিনি ৪ টুকরা,

এলাচ ৪টি,

পেস্তাবাদামকুচি ২ টেবিল-চামচ,

গোলাপজল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : চালকুমড়া সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। ঘি গরম করে বাটা চালকুমড়া চিনি ও দারচিনি ও এলাচ দিয়ে নাড়তে হবে। হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে এলে গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে। সার্ভিং ডিশে ঢেলে পেস্তাবাদামকুচি ছিটিয়ে বরফি কেটে পরিবেশন করতে হবে।

৪. বাদামের হালুয়া

উপকরণ: কাজু বাদাম ২ কাপ,

ছানা ২ কাপ,

চিনি ২ কাপ,

এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ,

ঘি আধা কাপ,

ময়দা ১ টেবিল চামচ,

কিসমিস ১ টেবিল চামচ,

কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।

প্রণালি : কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

৫. নেসেস্তার হালুয়া

উপকরণ :

সুজি – ১ কাপ

চিনি – পরিমান মতো

ফুড কালার – সামান্য

এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

ঘি – ১/২ কাপ

গোলাপ জল – ৪ টেবিল চামচ

প্রণালি : ৪ কাপ পানি দিয়ে সুজি সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে উপরের পানি ফেলে দিতে হবে।

আবার ৩ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে সুজি মাখাতে হবে।

এবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পানি ছেঁকে নিতে হবে। (নেশেস্তার হালুয়া এই ছাঁকা পানি দিয়েই তৈরি করা হয়)।

চিপে পানি নেওয়ার পর আবারও ২ কাপ পানি দিয়ে বাকি সুজির মাড় ধুয়ে নিতে হবে।

সুজি রাবারের মতো হয়ে গেলে ফেলে দিতে হবে।

এবার পানির সাথে চিনি, ফুড কালার, ঘি, এলাচ, গোলাপ জল দিয়ে চুলায় বসাতে হবে।

চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে।

আপনি ইচ্ছা করলে যেকোনো ফুড কালার ব্যাবহার করতে পারেন।

হালুয়ার উপরে যখন ঘি উঠে আসবে তখন নামিয়ে নিন।

গরম থাকতে সাভিং ডিশে ঢেলে ফেলুন।

ঠাণ্ডা হলে আপনার পছন্দ মতো শেপে কাটুন।

ঠাণ্ডা করে উপরে বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। এমন আরো মজার মজার রেসিপি পেতে দি ঢাকা টাইমসের সাথেই থাকুন।

৬. চকলেট হালুয়া

উপকরণ :

ডার্ক চকলেট গলানো দুই টেবিল চামচ,

কোকো পাউডার দুই টেবিল চামচ,

সুজি আধা কাপ,

চিনি আধা কাপ,

দারুচিনি গুঁড়ো সামান্য,

চকলেট সিরাপ দুই টেবিল চামচ,

ডিম একটি,

কাজুবাদাম কুচি সাত/আটটি,

ঘি পরিমাণ মতো ও লবণ সামান্য।

প্রণালি : প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে গলানো ডার্ক চকলেট, কোকো পাউডার, চকলেট সিরাপ, চিনি, ডিম ও এক কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এবার একটি প্যানে সামান্য ঘি দিয়ে সুজি হালকা ভেজে নিন। এখন এই সুজির মধ্যে চকলেটের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে গেলে এর মধ্যে দারুচিনি গুঁড়ো ও বাদাম কুচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ব্যস, খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু চকলেটের হালুয়া।

৭. কাজুবাদামের হালুয়া

উপকরণ :

কাজুবাদাম এক কাপ,

মাওয়া এক কাপ,

ময়দা এক টেবিল চামচ,

চিনি এক কাপ,

এলাচ গুঁড়ো সামান্য,

ঘি আধা কাপ এবং কিশমিশ এক টেবিল চামচ।

প্রণালি : প্রথমে কাজুবাদাম হালকা ভেজে চার-পাঁচ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার ভেজানো কাজুবাদাম ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে ব্লেন্ড করা কাজুবাদাম ও মাওয়া দিয়ে ভাজতে থাকুন। এখন এতে চিনি, ময়দা ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালুয়া ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু কাজুবাদামের হালুয়া।

৮. ছোলার ডালের হালুয়া

উপকরণ :

ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম,

দুধ ১ লিটার,

চিনি ৭৫০ গ্রাম,

ঘি চারভাগের এক কাপ,

এলাচ গুঁড়া সামান্য,

দারচিনি গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।

কিসমিস ৩ টেবিল চামচ,

পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালী : ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিয়ে আরো নাড়তে হবে। এলাচ, দারচিনি গুঁড়া দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে বড় খাঞ্জায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।

৯. গাজরের হালুয়া

উপকরণ :

গাজর কুচি ৮-১ও টি মাঝারি আকৃতির

ঘি ১ টেবিল চামচ

চিনি ১/২ কাপ

দুধ ২ কাপ

খেজুর কুচি ৩/৬ কাপ

এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ

কাজুবাদাম কুচি ৮-১০ টি

কাঠবাদাম কুচি ৮-১০ টি

খোয়া ১/২ কাপ

প্রণালি : প্রথমে একটি প্যানে ঘি দিয়ে এতে গাজর কুচি দিয়ে দিন।

ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট গাজর রান্না করুন।

এবার গাজর কুচির সাথে চিনি মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।

তারপর এতে দুধ মিশিয়ে ৬ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন।

এরপর এতে খেজুর কুচি, এলাচ গুঁড়ো, কাঠ বাদাম কুচি, কাজু বাদাম কুচি, মাওয়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার এটি ১০-১৫ মিনিট বা পানি না শুকানো পর্যন্ত রান্না করুন।

বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের হালুয়া।

১০. বুটের শাহি হালুয়া

উপকরণ :

বুটের ডাল ২ কাপ (হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ ঘণ্টা

দারুচিনি ১ টুকরা

তেজপাতা ১ টি

এলাচি গুঁড়ো হাফ চা চামচ

গুঁড়ো দুধ ২/৩ টেবিল চামচ

ঘি আধা কাপ

চিনি আধা কাপ (মিষ্টি প্রয়োজনে কম বেশি করে নিন নিজের মত)

হলুদ ফুড কালার সামান্য (ইচ্ছা)

বাদামের ক্রিম বাটার ২/৩ টেবিল চামচ (পিনাট বাটার)

প্রণালি : প্রথমে ডাল ধুয়ে, ডালের সমান লিকুইড দুধ ও তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেনো শুকিয়ে পুডে না যায়। ডাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।

ডালের সাথে বাদামের বাটার, ফুড কালার ও এলাচি গুঁড়ো দিয়ে ব্লেণ্ড করে নিতে হবে।

এখন প্যানে ঘি গরম করে দারুচিনি ফোঁড়ন দিয়ে ডাল, চিনি এক সাথে দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে যেন লেগে পুডে না যায়। ৫ মিনিট এভাবে নেড়ে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখতে হবে। ২/৩ মিনিট পর হালুয়া আঠালো হয়ে প্যানের গা ছেডে আসলে নামিয়ে নিবেন।

ঘি মাখানো ডীশে গরম গরম ঢেলে সমান করে নিবেন, ঠাণ্ডা হলে ফ্রিজে ২০/২৫ মিনিট রেখে বের করে চার কোনা বা তিন কোণা করে কেটে নিন। তারপর পরিবেশন করুন মজাদার বুটের হালুয়া।

নানা রকম ছাঁচে বসিয়ে ডিজাইন করতে পারেন। বা প্লেইন ডিশে বসিয়ে সেট করে কেটে নিতে পারেন।

১১. চকোলেট সেহেরা

উপকরণ:

সুজি ১ কাপ

তরল দুধ ২ কাপ

চিনি ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি করতে পারেন)

চকোলেট এসেন্স ৩ ফোটা

ডার্ক চকোলেট কুঁচি ১/২ কাপ অথবা কোকো পাউডার ২ চা চামচ

ঘি/গলানো মাখন ২ টেবিল চামচ

কাজু অথবা আলমন্ড বাদাম পরিমাণ মতো (সাজানোর জন্য)

প্রণালী: সুজি একটা শুকনা কড়াইতে নিয়ে হালকা আঁচে একটু ভেজে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

ননস্টিক পাত্রে দুধ, চিনি, কোকো পাউডার বা ডার্ক চকোলেট গলিয়ে (যেটা দিতে চান) ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা করা ভাজা সুজি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কড়াইটা চুলায় দিন। মাঝারি আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন। যেন সুজি দলা পাকিয়ে না যায় এবং হাঁড়ির নিচে লেগে না যায়।

এবার সুজি সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে ঘি/বাটার দিন ১ চামচ। কিছুক্ষণ নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বাকি ঘি/বাটার দিন। আবার নাড়ুন। এবার তেল উঠে একটু ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর সার্ভিং ডিসে সাজিয়ে উপরে বাদাম কুঁচি ছড়িয়ে দিন।

১২. বাংলার স্বাদে আমৃত্তি

উপকরণ :

মাশকলাই ডাল- ২ কাপ

কর্নফ্লাওয়ার- হাফ কাপ

চিনি- ৩ কাপ (সিরা করার জন্য)

খাবারের রং লাল/জর্দা রং- ১-২ ফোটা (ইচ্ছা)

ময়দা- হাফ কাপ

এলাচ- ১-২ টা

অমৃত্তি- তৈরির জন্য মোটা কাপড়, মাঝখানে ছোট ছিদ্র করা।

(এক্ষেত্রে আপনি সসের পট (পিপিং বয়াম) ব্যবহার করতে পারবেন)

তেল- পরিমাণ মতো (ভাজার জন্য)

তেজপাতা- ২-৩টা

চেপ্টা ফ্রাইপ্যান- বড় চওড়া হলে বেশি ভালো হয়।

প্রণালী : ডাল ৪-৫ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডালটা ভালো করে পিষে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। (আপনি চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন)। যখন পেস্টটা বানাবেন তখন হাফ কাপ পানি তাতে দিয়ে দিন। এবার একটা কড়াই নিয়ে তাতে অল্প করে পানি দিন।

কড়াইয়ের পানিতে এবার চিনি মেশান। চিনিটা জলের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। (খেয়াল রাখবেন সিরা যেন খুব বেশি ঘন না হয়ে যায়। সিরাতে এবার পরিমাণ মতো এলাচ মেশান। অল্প আঁচে সিরা তৈরি করে নিন। যখন দেখবেন রসটা ঘন হয়ে গেছে তখন আলাদা করে সরিয়ে রাখুন)।

এবার একটা বাটিতে ডাল নিন। সেই বাটিতে ডালের সঙ্গে একে একে কনফ্লাওয়ার, ময়দা এবং রং মেশান। সব উপকরণ ভালো করে মাখুন। এবার একটা পিপিং বয়াম নিয়ে তাতে ডালের এই মিশ্রনটা ঢেলে নিন। কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গরম করুন।

দেখবেন তেলটা ভালো মতো গরম হয়ে গেছে, তখন পিপিং বয়ামের সাহায্যে ডালের মিশ্রনটি কড়াইয়ে ছাড়তে থাকুন। এমনভাবে মিশ্রণটা দেবেন যাতে আমৃত্তির মতো দেখতে লাগে। ভালো করে আমৃত্তিগুলো ভাজুন। আমৃত্তিগুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে, তেল থেকে ছেকে তুলে সেগুলোকে সিরায় ডুবিয়ে দিন। সিরায় ভালো করে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে একটা প্লেটে আমৃত্তিগুলো নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

১৩. সুজির কেক

উপকরণ

সুজি – আধা কাপ থেকে ১ কাপ

তরল দুধ – ১ কাপ

চিনি -১/২ কাপ (কম বেশি দেয়া যাবে )

ডিম -১ টি ভ্যানিলা এসেন্স-১/২ চা চামচ

তেল -৪ টেবিল চামচ

ঘি -৪ টেবিল চামচ

বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ

প্রণালি

প্রথমে একটা বাটিতে ডিম, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা একসাথে কাঁটা চামচ দিয়ে একটু ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। চিনি গলে গেলে ডিম দুধ এর মিশ্রনে সুজি ও বেকিং পাউডার দিয়ে ভালো মিশিয়ে নিয়ে সব শেষে ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে আবার ভালো করে মিক্সড করতে হবে।

এখন একটা কোয়ার্টার প্লেট সাইজ বা ছোট সাইজের ননস্টিক ফ্রাইং প্যান চুলায় বসিয়ে, প্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে এর মধ্যে সুজির মিশ্রনটা আছতে আছতে করে ঢেলে দিয়ে তারপর চুলা জ্বালাতে হবে।

চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিয়ে নিভু নিভু আঁচে, প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৮-১০ মিনিট রান্না করতে হবে। ৮-১০ মিনিট পর যখন কেক এর উপরটা জমে যাবে আর কেক এর চারপাশে হালকা বাদামী রং হয়ে আসবে, তখন একটা ফ্ল্যাট/চেপ্টা চামচ দিয়ে খুব সাবধানে কেকটা উল্টে দিতে হবে। তারপর কেকের চারপাশে আরো ২ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিয়ে ঢেকে আবার মৃদু আঁচে অপর পিঠ বাদামী রং হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

সব শেষে কেকের মাঝে একটা ছুরি ঢুকিয়ে চেক করুন কেকের মাঝখানটা হয়েছে কিনা। কেক হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পছন্দ মতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

১৪. ‘মালিদা’

উপকরণ:

মাঝারি আকারের আটার রুটি ৮টি,

গুঁড় (কুচি করে কাটা) ১/৪ কাপ,

এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,

বাদাম ১/২ কাপ,

খেজুর কুচি করে কাটা ১/৪ কাপ,

ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:

প্রথমে রুটিগুলো ভালো করে হাতে ছিঁড়ে ছোট ছোট পিস করে নিন।

এরপর একটি গ্রাইন্ডার বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে রুটি আরও ছোটো করে গুঁড়ো ধরনের করে নিন। এতে প্রায় ৩ কাপ পরিমাণ রুটি হবে।

এরপর বাদাম গ্রাইন্ডারে দিয়ে ভেঙে নিন। চাইলে হামান দিস্তায় পিসে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। খুব বড় হবে না আবার মিহি করেও ভেঙে নিতে হবে না।

একটি বড় বাটিতে বাদাম গুঁড়ো, খেজুর কুচি, এলাচ গুঁড়ো এবং গুঁড় খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।

এবার একটি প্যানে অল্প আঁচে ঘি গলিয়ে নিন এবং অল্প গরম হলেই প্রসেস করে রাখা রুটি দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। রুটিগুলো প্রায় ৫-৭ মিনিট ভাজুন। এতে করে রুটির গুঁড়ো একটু মুচমুচে হবে।

ভাজা হয়ে গেলে এবার বড় বাটিতে রাখা বাদাম গুঁড়ের মিশ্রণে রুটির মিশ্রণ দিয়ে দিন এবং হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। যখন মিশ্রণ একটু ভেজা ভেজা হয়ে যাবে গুঁড়ের কারণে এবং আঠালো নরম ডো এর মতো তৈরি হবে তখন ছোটো ছোটো ভাগে ভাগ করে লাড্ডুর মতো বল তৈরি করুন।

একটির পর একটি বল তৈরি করে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পড়েই নরম ভাব কেটে দিয়ে একটু শক্ত লাড্ডুর মতো তৈরি হয়ে যাবে। উপরে কাজু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

১৫. বাদামের হালুয়া

শবে বরাতের বাহারি খাবারের আয়োজনের ভিড়ে রুটি আর হালুয়া ছাড়া যেন চলেই না। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাদামের হালুয়া রেসিপি।

তাহলে জেনে নিন কিভাবে তৈরী করবেন বাদামের হালুয়া-

উপকরণ :

কাজু বাদাম ২ কাপ

ছানা ২ কাপ

চিনি ২ কাপ

এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ

ঘি আধা কাপ

ময়দা ১ টেবিল চামচ

কিসমিস ১ টেবিল চামচ

কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর চুলায় একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। এরপর দ্রুত নাড়তে থাকুন। এরপর ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। এরপর হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দেশে ফিরলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

» ১৮’র ভোটের এসপিদেরও ওএসডি-বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে: আসিফ

» অপারেশন ডেভিল হান্ট : এক দিনে সারা দেশে গ্রেপ্তার ৪৬১

» খেলা আবার নতুন করে শুরু হতে পারে, প্রস্তুত থাকুন : জয়নুল আবেদীন

» মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান

» ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয় : প্রধান উপদেষ্টা

» এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যে ১৪ নির্দেশনা

» ইসলামপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

» ব্র্যাক ব্যাংকে ব্রাঞ্চ ইয়াং লিডার্স নিয়োগ

» বড়াইগ্রামে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শবে বরাতে তৈরি করুন ১৫ পদের হালুয়া

পবিত্র শবে বরাতে আমরা অনেকেই ইবাদতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি। আর এই রান্নার বড় একটা অংশ নানা স্বাদের হালুয়া। জেনে নিন বেশ কিছু হালুয়া তৈরির পদ্ধতি। শবে বরাতে সুজি বা বুটের হালুয়া তো বাড়িতে হবেই। এর সঙ্গে ভিন্নতা আনতে অন্য রকম হালুয়াও বানাতে পারেন। আসুন জেনে নেই কিছু ভিন্ন স্বাদের হালুয়ার রেসিপি।

১. ডিমের দরবারি হালুয়া

উপকরণ :

মুরগির ডিম ৬টি,

গুঁড়া দুধ ২ কাপ,

চিনি ২ কাপ,

কাজুবাটা পৌনে এক কাপ,

মালাই আধা কাপ,

কেওড়া ১ টেবিল চামচ, এ

লাচগুঁড়া আধা চা-চামচ,

ঘি আধা কাপ।

প্রণালি: ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে হবে। হালুয়া প্যানের গা ছেড়ে এলে ডিশে ঢেলে ঠাণ্ডা করে পছন্দ মতো আকারে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে।

২. পেঁপের হালুয়া

উপকরণ :

কাঁচা পেঁপে ১ কেজি,

চিনি ৩ কাপ,

ঘি আধা কাপ,

কেওড়া ১ টেবিল-চামচ,

দারচিনি গুঁড়ো আধা চা-চামচ,

এলাচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ,

পেস্তাবাদাম-কিশমিশ সিকি কাপ,

সবুজ ফুড কালার সামান্য।

প্রণালি : পেঁপে সবজি কোরানি দিয়ে ঝুরি করে অল্প পানি দিয়ে আধাসেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। প্যানে ঘি গরম করে পেঁপে দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে চিনি, ফুড কালার, কেওড়া, দারচিনি-এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ভুনতে হবে। হালুয়া ঘির ওপর উঠলে কিছু কিশমিশ ও পেস্তাবাদামকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ডিশে ঢালতে হবে ও ওপরে বাকি পেস্তাবাদামকুচি ছিটিয়ে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে পছন্দ মতো আকারে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে।

৩. চালকুমড়ার হালুয়া

উপকরণ :

খোসা ছাড়ানো ও বিচি বাদ দেওয়া পাকা চালকুমড়ার ছোট ছোট টুকরা ৪ কাপ,

চিনি আড়াই কাপ,

ঘি আধা কাপ,

দারচিনি ৪ টুকরা,

এলাচ ৪টি,

পেস্তাবাদামকুচি ২ টেবিল-চামচ,

গোলাপজল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : চালকুমড়া সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। ঘি গরম করে বাটা চালকুমড়া চিনি ও দারচিনি ও এলাচ দিয়ে নাড়তে হবে। হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে এলে গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে। সার্ভিং ডিশে ঢেলে পেস্তাবাদামকুচি ছিটিয়ে বরফি কেটে পরিবেশন করতে হবে।

৪. বাদামের হালুয়া

উপকরণ: কাজু বাদাম ২ কাপ,

ছানা ২ কাপ,

চিনি ২ কাপ,

এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ,

ঘি আধা কাপ,

ময়দা ১ টেবিল চামচ,

কিসমিস ১ টেবিল চামচ,

কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।

প্রণালি : কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

৫. নেসেস্তার হালুয়া

উপকরণ :

সুজি – ১ কাপ

চিনি – পরিমান মতো

ফুড কালার – সামান্য

এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

ঘি – ১/২ কাপ

গোলাপ জল – ৪ টেবিল চামচ

প্রণালি : ৪ কাপ পানি দিয়ে সুজি সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে উপরের পানি ফেলে দিতে হবে।

আবার ৩ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে সুজি মাখাতে হবে।

এবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পানি ছেঁকে নিতে হবে। (নেশেস্তার হালুয়া এই ছাঁকা পানি দিয়েই তৈরি করা হয়)।

চিপে পানি নেওয়ার পর আবারও ২ কাপ পানি দিয়ে বাকি সুজির মাড় ধুয়ে নিতে হবে।

সুজি রাবারের মতো হয়ে গেলে ফেলে দিতে হবে।

এবার পানির সাথে চিনি, ফুড কালার, ঘি, এলাচ, গোলাপ জল দিয়ে চুলায় বসাতে হবে।

চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে।

আপনি ইচ্ছা করলে যেকোনো ফুড কালার ব্যাবহার করতে পারেন।

হালুয়ার উপরে যখন ঘি উঠে আসবে তখন নামিয়ে নিন।

গরম থাকতে সাভিং ডিশে ঢেলে ফেলুন।

ঠাণ্ডা হলে আপনার পছন্দ মতো শেপে কাটুন।

ঠাণ্ডা করে উপরে বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। এমন আরো মজার মজার রেসিপি পেতে দি ঢাকা টাইমসের সাথেই থাকুন।

৬. চকলেট হালুয়া

উপকরণ :

ডার্ক চকলেট গলানো দুই টেবিল চামচ,

কোকো পাউডার দুই টেবিল চামচ,

সুজি আধা কাপ,

চিনি আধা কাপ,

দারুচিনি গুঁড়ো সামান্য,

চকলেট সিরাপ দুই টেবিল চামচ,

ডিম একটি,

কাজুবাদাম কুচি সাত/আটটি,

ঘি পরিমাণ মতো ও লবণ সামান্য।

প্রণালি : প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে গলানো ডার্ক চকলেট, কোকো পাউডার, চকলেট সিরাপ, চিনি, ডিম ও এক কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এবার একটি প্যানে সামান্য ঘি দিয়ে সুজি হালকা ভেজে নিন। এখন এই সুজির মধ্যে চকলেটের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে গেলে এর মধ্যে দারুচিনি গুঁড়ো ও বাদাম কুচি দিয়ে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ব্যস, খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল দারুণ সুস্বাদু চকলেটের হালুয়া।

৭. কাজুবাদামের হালুয়া

উপকরণ :

কাজুবাদাম এক কাপ,

মাওয়া এক কাপ,

ময়দা এক টেবিল চামচ,

চিনি এক কাপ,

এলাচ গুঁড়ো সামান্য,

ঘি আধা কাপ এবং কিশমিশ এক টেবিল চামচ।

প্রণালি : প্রথমে কাজুবাদাম হালকা ভেজে চার-পাঁচ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার ভেজানো কাজুবাদাম ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে ব্লেন্ড করা কাজুবাদাম ও মাওয়া দিয়ে ভাজতে থাকুন। এখন এতে চিনি, ময়দা ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালুয়া ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু কাজুবাদামের হালুয়া।

৮. ছোলার ডালের হালুয়া

উপকরণ :

ছোলার ডাল ৫০০ গ্রাম,

দুধ ১ লিটার,

চিনি ৭৫০ গ্রাম,

ঘি চারভাগের এক কাপ,

এলাচ গুঁড়া সামান্য,

দারচিনি গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।

কিসমিস ৩ টেবিল চামচ,

পেস্তা বাদাম কুচি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালী : ছোলার ডাল, দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে গরম অবস্থায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে ডাল বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চিনি দিয়ে আরো নাড়তে হবে। এলাচ, দারচিনি গুঁড়া দিতে হবে। হালুয়া তাল বেঁধে উঠলে কিসমিস, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে-চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে বড় খাঞ্জায় ঘি লাগিয়ে পেস্তা বাদাম কুচি ছিটিয়ে গরম হালুয়া ঢেলে সমান করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ছাঁচে বসিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরিবেশন করুন।

৯. গাজরের হালুয়া

উপকরণ :

গাজর কুচি ৮-১ও টি মাঝারি আকৃতির

ঘি ১ টেবিল চামচ

চিনি ১/২ কাপ

দুধ ২ কাপ

খেজুর কুচি ৩/৬ কাপ

এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ

কাজুবাদাম কুচি ৮-১০ টি

কাঠবাদাম কুচি ৮-১০ টি

খোয়া ১/২ কাপ

প্রণালি : প্রথমে একটি প্যানে ঘি দিয়ে এতে গাজর কুচি দিয়ে দিন।

ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট গাজর রান্না করুন।

এবার গাজর কুচির সাথে চিনি মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।

তারপর এতে দুধ মিশিয়ে ৬ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন।

এরপর এতে খেজুর কুচি, এলাচ গুঁড়ো, কাঠ বাদাম কুচি, কাজু বাদাম কুচি, মাওয়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার এটি ১০-১৫ মিনিট বা পানি না শুকানো পর্যন্ত রান্না করুন।

বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের হালুয়া।

১০. বুটের শাহি হালুয়া

উপকরণ :

বুটের ডাল ২ কাপ (হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ ঘণ্টা

দারুচিনি ১ টুকরা

তেজপাতা ১ টি

এলাচি গুঁড়ো হাফ চা চামচ

গুঁড়ো দুধ ২/৩ টেবিল চামচ

ঘি আধা কাপ

চিনি আধা কাপ (মিষ্টি প্রয়োজনে কম বেশি করে নিন নিজের মত)

হলুদ ফুড কালার সামান্য (ইচ্ছা)

বাদামের ক্রিম বাটার ২/৩ টেবিল চামচ (পিনাট বাটার)

প্রণালি : প্রথমে ডাল ধুয়ে, ডালের সমান লিকুইড দুধ ও তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেনো শুকিয়ে পুডে না যায়। ডাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।

ডালের সাথে বাদামের বাটার, ফুড কালার ও এলাচি গুঁড়ো দিয়ে ব্লেণ্ড করে নিতে হবে।

এখন প্যানে ঘি গরম করে দারুচিনি ফোঁড়ন দিয়ে ডাল, চিনি এক সাথে দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে যেন লেগে পুডে না যায়। ৫ মিনিট এভাবে নেড়ে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখতে হবে। ২/৩ মিনিট পর হালুয়া আঠালো হয়ে প্যানের গা ছেডে আসলে নামিয়ে নিবেন।

ঘি মাখানো ডীশে গরম গরম ঢেলে সমান করে নিবেন, ঠাণ্ডা হলে ফ্রিজে ২০/২৫ মিনিট রেখে বের করে চার কোনা বা তিন কোণা করে কেটে নিন। তারপর পরিবেশন করুন মজাদার বুটের হালুয়া।

নানা রকম ছাঁচে বসিয়ে ডিজাইন করতে পারেন। বা প্লেইন ডিশে বসিয়ে সেট করে কেটে নিতে পারেন।

১১. চকোলেট সেহেরা

উপকরণ:

সুজি ১ কাপ

তরল দুধ ২ কাপ

চিনি ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি করতে পারেন)

চকোলেট এসেন্স ৩ ফোটা

ডার্ক চকোলেট কুঁচি ১/২ কাপ অথবা কোকো পাউডার ২ চা চামচ

ঘি/গলানো মাখন ২ টেবিল চামচ

কাজু অথবা আলমন্ড বাদাম পরিমাণ মতো (সাজানোর জন্য)

প্রণালী: সুজি একটা শুকনা কড়াইতে নিয়ে হালকা আঁচে একটু ভেজে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

ননস্টিক পাত্রে দুধ, চিনি, কোকো পাউডার বা ডার্ক চকোলেট গলিয়ে (যেটা দিতে চান) ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা করা ভাজা সুজি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে কড়াইটা চুলায় দিন। মাঝারি আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন। যেন সুজি দলা পাকিয়ে না যায় এবং হাঁড়ির নিচে লেগে না যায়।

এবার সুজি সেদ্ধ হয়ে দুধ শুকিয়ে আঠালো হয়ে এলে ঘি/বাটার দিন ১ চামচ। কিছুক্ষণ নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বাকি ঘি/বাটার দিন। আবার নাড়ুন। এবার তেল উঠে একটু ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর সার্ভিং ডিসে সাজিয়ে উপরে বাদাম কুঁচি ছড়িয়ে দিন।

১২. বাংলার স্বাদে আমৃত্তি

উপকরণ :

মাশকলাই ডাল- ২ কাপ

কর্নফ্লাওয়ার- হাফ কাপ

চিনি- ৩ কাপ (সিরা করার জন্য)

খাবারের রং লাল/জর্দা রং- ১-২ ফোটা (ইচ্ছা)

ময়দা- হাফ কাপ

এলাচ- ১-২ টা

অমৃত্তি- তৈরির জন্য মোটা কাপড়, মাঝখানে ছোট ছিদ্র করা।

(এক্ষেত্রে আপনি সসের পট (পিপিং বয়াম) ব্যবহার করতে পারবেন)

তেল- পরিমাণ মতো (ভাজার জন্য)

তেজপাতা- ২-৩টা

চেপ্টা ফ্রাইপ্যান- বড় চওড়া হলে বেশি ভালো হয়।

প্রণালী : ডাল ৪-৫ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ডালটা ভালো করে পিষে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। (আপনি চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন)। যখন পেস্টটা বানাবেন তখন হাফ কাপ পানি তাতে দিয়ে দিন। এবার একটা কড়াই নিয়ে তাতে অল্প করে পানি দিন।

কড়াইয়ের পানিতে এবার চিনি মেশান। চিনিটা জলের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। (খেয়াল রাখবেন সিরা যেন খুব বেশি ঘন না হয়ে যায়। সিরাতে এবার পরিমাণ মতো এলাচ মেশান। অল্প আঁচে সিরা তৈরি করে নিন। যখন দেখবেন রসটা ঘন হয়ে গেছে তখন আলাদা করে সরিয়ে রাখুন)।

এবার একটা বাটিতে ডাল নিন। সেই বাটিতে ডালের সঙ্গে একে একে কনফ্লাওয়ার, ময়দা এবং রং মেশান। সব উপকরণ ভালো করে মাখুন। এবার একটা পিপিং বয়াম নিয়ে তাতে ডালের এই মিশ্রনটা ঢেলে নিন। কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গরম করুন।

দেখবেন তেলটা ভালো মতো গরম হয়ে গেছে, তখন পিপিং বয়ামের সাহায্যে ডালের মিশ্রনটি কড়াইয়ে ছাড়তে থাকুন। এমনভাবে মিশ্রণটা দেবেন যাতে আমৃত্তির মতো দেখতে লাগে। ভালো করে আমৃত্তিগুলো ভাজুন। আমৃত্তিগুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে, তেল থেকে ছেকে তুলে সেগুলোকে সিরায় ডুবিয়ে দিন। সিরায় ভালো করে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে একটা প্লেটে আমৃত্তিগুলো নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

১৩. সুজির কেক

উপকরণ

সুজি – আধা কাপ থেকে ১ কাপ

তরল দুধ – ১ কাপ

চিনি -১/২ কাপ (কম বেশি দেয়া যাবে )

ডিম -১ টি ভ্যানিলা এসেন্স-১/২ চা চামচ

তেল -৪ টেবিল চামচ

ঘি -৪ টেবিল চামচ

বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ

প্রণালি

প্রথমে একটা বাটিতে ডিম, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা একসাথে কাঁটা চামচ দিয়ে একটু ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। চিনি গলে গেলে ডিম দুধ এর মিশ্রনে সুজি ও বেকিং পাউডার দিয়ে ভালো মিশিয়ে নিয়ে সব শেষে ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে আবার ভালো করে মিক্সড করতে হবে।

এখন একটা কোয়ার্টার প্লেট সাইজ বা ছোট সাইজের ননস্টিক ফ্রাইং প্যান চুলায় বসিয়ে, প্যানে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে এর মধ্যে সুজির মিশ্রনটা আছতে আছতে করে ঢেলে দিয়ে তারপর চুলা জ্বালাতে হবে।

চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিয়ে নিভু নিভু আঁচে, প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৮-১০ মিনিট রান্না করতে হবে। ৮-১০ মিনিট পর যখন কেক এর উপরটা জমে যাবে আর কেক এর চারপাশে হালকা বাদামী রং হয়ে আসবে, তখন একটা ফ্ল্যাট/চেপ্টা চামচ দিয়ে খুব সাবধানে কেকটা উল্টে দিতে হবে। তারপর কেকের চারপাশে আরো ২ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিয়ে ঢেকে আবার মৃদু আঁচে অপর পিঠ বাদামী রং হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

সব শেষে কেকের মাঝে একটা ছুরি ঢুকিয়ে চেক করুন কেকের মাঝখানটা হয়েছে কিনা। কেক হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পছন্দ মতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।

১৪. ‘মালিদা’

উপকরণ:

মাঝারি আকারের আটার রুটি ৮টি,

গুঁড় (কুচি করে কাটা) ১/৪ কাপ,

এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,

বাদাম ১/২ কাপ,

খেজুর কুচি করে কাটা ১/৪ কাপ,

ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:

প্রথমে রুটিগুলো ভালো করে হাতে ছিঁড়ে ছোট ছোট পিস করে নিন।

এরপর একটি গ্রাইন্ডার বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে রুটি আরও ছোটো করে গুঁড়ো ধরনের করে নিন। এতে প্রায় ৩ কাপ পরিমাণ রুটি হবে।

এরপর বাদাম গ্রাইন্ডারে দিয়ে ভেঙে নিন। চাইলে হামান দিস্তায় পিসে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। খুব বড় হবে না আবার মিহি করেও ভেঙে নিতে হবে না।

একটি বড় বাটিতে বাদাম গুঁড়ো, খেজুর কুচি, এলাচ গুঁড়ো এবং গুঁড় খুব ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং আলাদা করে রাখুন।

এবার একটি প্যানে অল্প আঁচে ঘি গলিয়ে নিন এবং অল্প গরম হলেই প্রসেস করে রাখা রুটি দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। রুটিগুলো প্রায় ৫-৭ মিনিট ভাজুন। এতে করে রুটির গুঁড়ো একটু মুচমুচে হবে।

ভাজা হয়ে গেলে এবার বড় বাটিতে রাখা বাদাম গুঁড়ের মিশ্রণে রুটির মিশ্রণ দিয়ে দিন এবং হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। যখন মিশ্রণ একটু ভেজা ভেজা হয়ে যাবে গুঁড়ের কারণে এবং আঠালো নরম ডো এর মতো তৈরি হবে তখন ছোটো ছোটো ভাগে ভাগ করে লাড্ডুর মতো বল তৈরি করুন।

একটির পর একটি বল তৈরি করে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পড়েই নরম ভাব কেটে দিয়ে একটু শক্ত লাড্ডুর মতো তৈরি হয়ে যাবে। উপরে কাজু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

১৫. বাদামের হালুয়া

শবে বরাতের বাহারি খাবারের আয়োজনের ভিড়ে রুটি আর হালুয়া ছাড়া যেন চলেই না। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাদামের হালুয়া রেসিপি।

তাহলে জেনে নিন কিভাবে তৈরী করবেন বাদামের হালুয়া-

উপকরণ :

কাজু বাদাম ২ কাপ

ছানা ২ কাপ

চিনি ২ কাপ

এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ

ঘি আধা কাপ

ময়দা ১ টেবিল চামচ

কিসমিস ১ টেবিল চামচ

কাজু ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কাজু বাদাম হালকা ভেজে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর চুলায় একটি কড়াইয়ে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। এরপর দ্রুত নাড়তে থাকুন। এরপর ময়দা, এলাচ গুঁড়া দিন। এরপর হালুয়া হয়ে এলে প্লেটে সাজিয়ে ওপরে কিসমিস, কাজু ও পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com