শত বছরের পুরনো পোরশার মুসাফির খানা 

নাদিম আহমেদ অনিক, প্রতিনিধি- শত বছরের পুরনো নওগাঁ জেলার পোরশায় অবস্থিত  মুসাফির খানা। যা ১৯০৮ সাল থেকে এখনো বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে পথশ্রান্ত মুসাফিরদের।
জানা যায়, এ মুসাফিরখানা টি তৈরী করেন পোরশার সে সময়ের জমিদার খাদেম মোহাম্মদ শাহ্।
তৎকালীন সময়ে পথিকদের কষ্টে পথ পাড়ি দিতে হতো। রাস্তায় খাওয়ার জায়গা নাই, রাত নামলেই বিপদের আশঙ্কা। আর এ কারণেই ১৯০৮ সালে জমিদার খাদেম মোহাম্মদ পোরশায় তার মঞ্জিলের পাশেই একটা মাটির বাড়ি বানিয়ে নাম দিলেন ‘মুসাফির খানা’।
মুসাফির খানাটি পরিচালনার জন্য তার ৮০ বিঘা জমির দলিল লিখে দিলেন মুসাফির খানার নামে যাতে মুসাফিরদের এখানে থাকা এবং খাওয়ার কোন অসুবিধা না হয়।
মুসাফির খানা ১৯৮৮ সালে আবার নতুন করে পাকা বিল্ডিং তৈরি করা হয়। দোতলা এই বিল্ডিংয়ে ৫০-৬০ জন থাকতে পারে। ১১২ বছর পরও এই মুসাফির খানা এখনো অতিথিদের জন্য খোলা, থাকা খাওয়ার জন্য কোন খরচ দিতে হয়না।
মুসাফিরখানায় থাকতে আসা মো.রতন আলি দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অন্তর আহমেদকে জানায়, আমি ব্যবসার কাজে দিনাজপুর থেকে এসেছি আশেপাশে কোন হোটেল বা থাকার যায়গা নাই। মুসাফিরখানা এসে আছি আজ এখানে আমার দ্বিতীয় দিন, এখানে থাকার কোন সমস্যা নাই। যে কেউ এসে এখানে থাকতে পারে, এখানে অনেক নিরাপদ বিনা পয়সায় থাকা ও খাওয়া যায়। এখানে দায়িত্ব যারা আছে তারাও অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন। যা আসলে অভাবনীয়, আমি অনেক খুশি।
মুসাফির খানার খাদেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, মুসাফিরখানায় সর্বমোট ১৬ টি রুম আছে। এই মুসাফিরখানায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন, তাদের জন্য এখানে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে প্রতিদিনিই গড়ে তিন-ছয় জন আসে যারা এখানে থাকেন গরিব মুসাফিরদের জন্যে এখানে খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একজন মুসাফির সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত থাকতে ও খেতে পারবেন। এই মুসাফিরখানায় রমজান মাসে প্রতিদিনই দেড়শ থেকে ২শ মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা রয়েছে। #
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

» গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করে শেষ মুহূর্তে ‘শাটডাউন’ এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

» বাসে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি পাইপ গানসহ দুই যাত্রী গ্রেপ্তার

» সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাসান আরিফের জানাজা সম্পন্ন

» উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

» ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ কনসার্ট ঘিরে যান চলাচলে নির্দেশনা

» সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু

» বেইলি ব্রিজ ভেঙে তুরাগ ন‌দে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

» সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

» ক‍্যানবেরায় ১২ প্রবাসীকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অ‍্যাওয়ার্ড প্রদান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শত বছরের পুরনো পোরশার মুসাফির খানা 

নাদিম আহমেদ অনিক, প্রতিনিধি- শত বছরের পুরনো নওগাঁ জেলার পোরশায় অবস্থিত  মুসাফির খানা। যা ১৯০৮ সাল থেকে এখনো বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে পথশ্রান্ত মুসাফিরদের।
জানা যায়, এ মুসাফিরখানা টি তৈরী করেন পোরশার সে সময়ের জমিদার খাদেম মোহাম্মদ শাহ্।
তৎকালীন সময়ে পথিকদের কষ্টে পথ পাড়ি দিতে হতো। রাস্তায় খাওয়ার জায়গা নাই, রাত নামলেই বিপদের আশঙ্কা। আর এ কারণেই ১৯০৮ সালে জমিদার খাদেম মোহাম্মদ পোরশায় তার মঞ্জিলের পাশেই একটা মাটির বাড়ি বানিয়ে নাম দিলেন ‘মুসাফির খানা’।
মুসাফির খানাটি পরিচালনার জন্য তার ৮০ বিঘা জমির দলিল লিখে দিলেন মুসাফির খানার নামে যাতে মুসাফিরদের এখানে থাকা এবং খাওয়ার কোন অসুবিধা না হয়।
মুসাফির খানা ১৯৮৮ সালে আবার নতুন করে পাকা বিল্ডিং তৈরি করা হয়। দোতলা এই বিল্ডিংয়ে ৫০-৬০ জন থাকতে পারে। ১১২ বছর পরও এই মুসাফির খানা এখনো অতিথিদের জন্য খোলা, থাকা খাওয়ার জন্য কোন খরচ দিতে হয়না।
মুসাফিরখানায় থাকতে আসা মো.রতন আলি দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি অন্তর আহমেদকে জানায়, আমি ব্যবসার কাজে দিনাজপুর থেকে এসেছি আশেপাশে কোন হোটেল বা থাকার যায়গা নাই। মুসাফিরখানা এসে আছি আজ এখানে আমার দ্বিতীয় দিন, এখানে থাকার কোন সমস্যা নাই। যে কেউ এসে এখানে থাকতে পারে, এখানে অনেক নিরাপদ বিনা পয়সায় থাকা ও খাওয়া যায়। এখানে দায়িত্ব যারা আছে তারাও অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন। যা আসলে অভাবনীয়, আমি অনেক খুশি।
মুসাফির খানার খাদেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, মুসাফিরখানায় সর্বমোট ১৬ টি রুম আছে। এই মুসাফিরখানায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন, তাদের জন্য এখানে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে প্রতিদিনিই গড়ে তিন-ছয় জন আসে যারা এখানে থাকেন গরিব মুসাফিরদের জন্যে এখানে খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একজন মুসাফির সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত থাকতে ও খেতে পারবেন। এই মুসাফিরখানায় রমজান মাসে প্রতিদিনই দেড়শ থেকে ২শ মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা রয়েছে। #
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com