লেন্স পরা চোখের সুরক্ষায় কিছু নিয়ম মানা জরুরি

ছবি সংগৃহীত

 

চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে রং-বেরঙের লেন্স ব্যবহার হয়। আবার চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ব্যবহৃত হয় লেন্স। যাদের চশমা পরতে অনিহা তারাও চোখে লেন্স পরেন। তবে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার বেশি হয় সাধারণত লুকের বদল আনতেই। বিয়ে, বউভাত, পার্টিসহ জমকালো অনুষ্ঠানের সাজে আজকাল মেয়েরা কন্টাক্ট লেন্স পরছেন।

কন্টাক্ট লেন্সে নিমেষেই চোখের রং বদলে যায়। রয়েছে পছন্দসই লেন্স বেছে নেওয়ার সুযোগ। সাশ্রয়ী মূল্যে এসব লেন্স কেনা যায় বলে একেক সাজে একেক রঙা লেন্স পরে মেয়েরা। মনে রাখতে হবে, চোখ আমাদের মূল্যবান ও সংবেদনশীল অঙ্গ। ছোট্ট ভুলেই চোখের বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ এবং লেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ঠিকঠাক না মানার কারণে চোখের সংক্রমণ, কর্ণিয়ার আলসার, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।

 

হার্ড, সেমি সফট, সফট ও ডিসপোজেবল এই চার ধরনের লেন্স বেশি ব্যবহৃত হয়। হার্ড লেন্স এক ধরনের স্বচ্ছ প্লাস্টিকে তৈরি। এর মধ্য দিয়ে অক্সিজেন যেতে পারে না। এ জন্য এটা চার ঘণ্টা পর পর খুলে ধুয়ে রাখতে হয়। এটা বেশি টেকসই, কম দাম এবং অনেক পরিষ্কার বলে এর চলও বেশি। সেমি সফট বা আরজিপি লেন্স অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম। সেমি সফট লেন্স প্লাস্টিকে তৈরি। এতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। তাই বেশ নরম ও আরামদায়ক। এটি আকারে বড় হওয়ায় সহজে খুলে পড়ে না। দাম একটু বেশি এবং খুলে তরল পদার্থে ডুবিয়ে রাখতে হয়। ডিসপোজেবল লেন্স এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

কি করণীয়

সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেন্স ব্যবহার করতে হবে। নইলে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। কন্টাক্ট লেন্স সাধারণ জল দিয়ে ধোয়া বা জলে বা থুথু দিয়ে ভেজানো যাবে না। চোখে লেন্স পরা ও খোলার আগে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে। নখের আঁচড় লেগে লেন্স যেন ছিঁড়ে না যায় বা চোখের পর্দায় আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাজের জন্য দীর্ঘ সময় লেন্স থাকা উচিত নয়। লেন্স পরে ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ডান-বামের লেন্স গুলিয়ে ফেলা যাবে না। যে চোখের যে লেন্স সেভাবেই পরতে হবে। আইলাইনার, মাশকারা বা মেকআপ করার আগে চোখের লেন্স পরতে হবে। লেন্স পরা চোখ ঘষা বা রগড়ানো বা ঢলাঢলি করা যাবে না। অ্যালার্জি থাকলে লেন্স ব্যবহার করা যাবে না। লেন্স পরে বেশি ধুলাবালির মধ্যে কাজ করা যাবে না।

গোসলের আগে লেন্স খুলে নিতে হবে। পরিচ্ছন্ন স্থানে সঠিকভাবে লেন্স রাখার কৌটায় বিশেষ তরলের মধ্যে লেন্স ডুবিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিবার নতুন সলিউশনে লেন্স ডুবিয়ে রাখতে হবে। অন্যের লেন্স নিজে পরবেন না বা নিজের লেন্স অন্যকে পরতে দেওয়া যাবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ লেন্স পরা যাবে না। লেন্স ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম শেষে তা আর ব্যবহার করা যাবে না। লেন্স পরায় চোখে কোনো অসুবিধা অনুভূত হলে একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

কোথায় পাবেন, কত দাম?

প্রসাধনীর দোকান, চশমার দোকান ও বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালসে লেন্স কিনতে পাওয়া যায়। এসব দোকানে মানভেদে লেন্স পাওয়া যাবে ৪০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। সফট লেন্স এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার, ডিসপোজেবল লেন্স দুই থেকে তিন হাজার এবং হার্ড লেন্স ৪০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। লেন্স কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ডের দেখে কিনুন।  সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বেড়েছে সবজির দাম

» রেলের জমি থেকে মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে যা বললেন উপদেষ্টা

» রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ

» উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ বিমানের

» এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ১২৩০ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত

» ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যেসব ফল

» কাতারে শুরু প্রথম বাংলাদেশি আম উৎসব

» ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটক

» সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে সারা-আদিত্য

» ইউক্রেনে আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

লেন্স পরা চোখের সুরক্ষায় কিছু নিয়ম মানা জরুরি

ছবি সংগৃহীত

 

চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে রং-বেরঙের লেন্স ব্যবহার হয়। আবার চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও ব্যবহৃত হয় লেন্স। যাদের চশমা পরতে অনিহা তারাও চোখে লেন্স পরেন। তবে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার বেশি হয় সাধারণত লুকের বদল আনতেই। বিয়ে, বউভাত, পার্টিসহ জমকালো অনুষ্ঠানের সাজে আজকাল মেয়েরা কন্টাক্ট লেন্স পরছেন।

কন্টাক্ট লেন্সে নিমেষেই চোখের রং বদলে যায়। রয়েছে পছন্দসই লেন্স বেছে নেওয়ার সুযোগ। সাশ্রয়ী মূল্যে এসব লেন্স কেনা যায় বলে একেক সাজে একেক রঙা লেন্স পরে মেয়েরা। মনে রাখতে হবে, চোখ আমাদের মূল্যবান ও সংবেদনশীল অঙ্গ। ছোট্ট ভুলেই চোখের বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ এবং লেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ঠিকঠাক না মানার কারণে চোখের সংক্রমণ, কর্ণিয়ার আলসার, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।

 

হার্ড, সেমি সফট, সফট ও ডিসপোজেবল এই চার ধরনের লেন্স বেশি ব্যবহৃত হয়। হার্ড লেন্স এক ধরনের স্বচ্ছ প্লাস্টিকে তৈরি। এর মধ্য দিয়ে অক্সিজেন যেতে পারে না। এ জন্য এটা চার ঘণ্টা পর পর খুলে ধুয়ে রাখতে হয়। এটা বেশি টেকসই, কম দাম এবং অনেক পরিষ্কার বলে এর চলও বেশি। সেমি সফট বা আরজিপি লেন্স অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম। সেমি সফট লেন্স প্লাস্টিকে তৈরি। এতে জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। তাই বেশ নরম ও আরামদায়ক। এটি আকারে বড় হওয়ায় সহজে খুলে পড়ে না। দাম একটু বেশি এবং খুলে তরল পদার্থে ডুবিয়ে রাখতে হয়। ডিসপোজেবল লেন্স এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

কি করণীয়

সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেন্স ব্যবহার করতে হবে। নইলে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। কন্টাক্ট লেন্স সাধারণ জল দিয়ে ধোয়া বা জলে বা থুথু দিয়ে ভেজানো যাবে না। চোখে লেন্স পরা ও খোলার আগে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে। নখের আঁচড় লেগে লেন্স যেন ছিঁড়ে না যায় বা চোখের পর্দায় আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাজের জন্য দীর্ঘ সময় লেন্স থাকা উচিত নয়। লেন্স পরে ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ডান-বামের লেন্স গুলিয়ে ফেলা যাবে না। যে চোখের যে লেন্স সেভাবেই পরতে হবে। আইলাইনার, মাশকারা বা মেকআপ করার আগে চোখের লেন্স পরতে হবে। লেন্স পরা চোখ ঘষা বা রগড়ানো বা ঢলাঢলি করা যাবে না। অ্যালার্জি থাকলে লেন্স ব্যবহার করা যাবে না। লেন্স পরে বেশি ধুলাবালির মধ্যে কাজ করা যাবে না।

গোসলের আগে লেন্স খুলে নিতে হবে। পরিচ্ছন্ন স্থানে সঠিকভাবে লেন্স রাখার কৌটায় বিশেষ তরলের মধ্যে লেন্স ডুবিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিবার নতুন সলিউশনে লেন্স ডুবিয়ে রাখতে হবে। অন্যের লেন্স নিজে পরবেন না বা নিজের লেন্স অন্যকে পরতে দেওয়া যাবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ লেন্স পরা যাবে না। লেন্স ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম শেষে তা আর ব্যবহার করা যাবে না। লেন্স পরায় চোখে কোনো অসুবিধা অনুভূত হলে একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

কোথায় পাবেন, কত দাম?

প্রসাধনীর দোকান, চশমার দোকান ও বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালসে লেন্স কিনতে পাওয়া যায়। এসব দোকানে মানভেদে লেন্স পাওয়া যাবে ৪০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। সফট লেন্স এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার, ডিসপোজেবল লেন্স দুই থেকে তিন হাজার এবং হার্ড লেন্স ৪০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। লেন্স কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ডের দেখে কিনুন।  সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com