লেখকদের বিকাশে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মননশীল লেখকদের বিকাশে ‘অমর একুশে বইমেলা’ এক অবিকল্প আয়োজন। 

 

‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পর্দা উঠছে ‘অমর একুশে বইমেলা’র।

‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’-এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’র আয়োজনে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। অমর একুশে বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি ‘মহান ভাষা আন্দোলনে’ অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতিও তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতি কর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, ‘এই মেলা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস’।

 

আবদুল হামিদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষা চর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে-এটাই সবার প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এটাই কাম্য।

তিনি আশা করেন, ‘বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোচালকসহ দুজন নিহত

» আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম

» পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

» টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

» ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

» কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

» গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১১২৬ জন আসামি গ্রেফতার

» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

লেখকদের বিকাশে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মননশীল লেখকদের বিকাশে ‘অমর একুশে বইমেলা’ এক অবিকল্প আয়োজন। 

 

‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পর্দা উঠছে ‘অমর একুশে বইমেলা’র।

‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’-এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’র আয়োজনে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। অমর একুশে বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি ‘মহান ভাষা আন্দোলনে’ অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতিও তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, অমর একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতি কর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, ‘এই মেলা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস’।

 

আবদুল হামিদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষা চর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে-এটাই সবার প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এটাই কাম্য।

তিনি আশা করেন, ‘বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com