ছবি সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর পৌরসভা উত্তর অঞ্চলের ব্যানারে শহরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা শাখা। সকাল ৭টা থেকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন।
লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। শিশুদের কী অপরাধ ছিল? তারা শতাধিক শিশুকে হত্যা করেছে। নব্বই বছরের বৃদ্ধ তো রাস্তায় আসেনি, তাদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেব। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, শহর সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মনজুরুর আলম মিরন, সামছুল আলম, নাছির উদ্দিন, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
জামায়াত সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে লক্ষ্মীপুরে দলটি প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে।