অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকতা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়।
এসময় দুদক কর্মকর্তারা মোবাইল ফোনে কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গ্রাহক অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য নেন। এছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র এবং তথ্য সংগ্রহ করে দুদক টিম।
অভিযানে গ্রাহকের সাথে অনিয়ম, হয়রানি এবং সেবা পেতে অতিরিক্ত অর্থের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ অফিসের বা গাড়ির নাম্বার প্লেট করাতে আসলে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। দালালদের মাধ্যমে না আসলে সেবা পেতে বিলম্ব হয়, এ ধরনের অভিযোগ দুদকের গোচরীভূত হয়। কমিশনের অনুমোদনক্রমে আমরা একটি ইনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করি। শুরুতে আমরা ছদ্মবেশে সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। তবে এ কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতা তেমন একটা ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যারা সেবা নিয়েছে, তাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলি। কয়েকজন সেবাগ্রহীতা আমাদেরকে জানিয়েছেন তাদেরকে সেবা নিতে বাড়তি টাকা দিতে হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আছে। সেবাগ্রহীতারা গাড়ির শো-রুম কিংবা অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিতে হয় বলে জানান। তারা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারা কারা জড়িত, আমরা এখনো সুনিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেছি। আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবো। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনিয়মের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক প্রণব চন্দ্র নাগ বলেন, দুদক যে-সব গ্রাহকদের সাথে কথা বলেছে, কেউ বলেছে গাড়ির শো-রুমকে দিয়েছে, কেউ বলছে দালালের মাধ্যমে দিয়েছে, ওনারা যদি আমাদের কাছে সরাসরি বলতো, আমরা দেখতে পারতাম যে আমাদের নাম ভাঙিয়ে আসলে কারা এ টাকাটা নিচ্ছে। ওনারা (দুদক) অভিযোগগুলো বিআরটিএ এর বিরুদ্ধে পেয়েছে, কিন্তু একটা অভিযোগেও বলেনি বিআরটিএ এর কর্মকর্তা বা কর্মচারী টাকা নিয়েছে। অভিযোগকারীরা শো-রুমের কথা বলেছে, কিন্তু কারো নাম বলতে পারেনি।
কার্যালয়ে দালাল এবং শো-রুমের মাধ্যমে বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।
Facebook Comments Box