রুশ হামলা থেকে বাঁচতে হাজারো ইউক্রেনবাসী দেশটির পাতাল রেলস্টেশনে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। সবার চোখে-মুখে উদ্বিগ্নতার ছাপ।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন আকস্মিকভাবে ইউক্রেনের উপর রুশ হামলা শুরুর ঘোষণা দেয়। তারপর জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করে ইউক্রেনবাসী।
রুশ হামলা মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ইউক্রেনের নাগরিকদের ঘরের বাইরে বের না হতে আহ্বান জানান।
জরুরি অবস্থা জারির পর ইউক্রেনের সড়কে কোনো গাড়ি চলাচল করছে না। পুরো ইউরোপজুড়ে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে। কিছুক্ষণ পর পর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার হাজারো ইউক্রেনের নাগরিক পাতাল রেলস্টেশনে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। সেখানে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে সবাই কঠিন সময় পার করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পাতাল রেল স্টেশনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।
বর্তমানে মেট্রো স্টেশনে চলাচলকারী সব ট্রেন বন্ধ রয়েছে। একারণে অনেকে ট্রেনের ভেতরেই আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করছেন। সেসময় জার্মানি লন্ডনে হামলা শুরু করার পর হাজারো লন্ডনবাসী পাতাল রেলস্টেশনে আশ্রয় গ্রহণ করে। ইউক্রেনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, রাতে সড়কে কোনো সাধারণ নাগরিকের উপস্থিতি নেই। শুধু কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করছে। পাতাল স্টেশনে সবাই গাদাগাদি হয়ে বসে আছে। অনেকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই শুয়ে আছে।