আবু মুসা মোহন বিশেষ প্রতিনিধি:রায়পুরে স্বাস্থ্যসেবার নামে চলছে ক্লিনিক ব্যবসার জমজমাট বাণিজ্য। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ ও মানহীন ক্লিনিকের সংখ্যা। চিকিৎসা নয়, যেন রোগীদের নিয়ে চলছে নির্লজ্জ বানিজ্য। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি সেদিকে না গিয়ে রহস্যজনক নীরবতাই পালন করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক ক্লিনিকে নেই পর্যাপ্ত লাইসেন্স, প্রশিক্ষিত ডাক্তার কিংবা আধুনিক যন্ত্রপাতি। কিছু ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পুরনো ও বিকল মেশিন, যার ফলে রোগ নির্ধারণে ঘটছে মারাত্মক ভুল। অপারেশনের নামে চলছে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা। কখনো কখনো ঘটে যাচ্ছে মৃত্যুর ঘটনাও, যা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মালিকদের ছত্রছায়ায়।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, “একটি পরিচিত ক্লিনিকে আমার আত্মীয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেখি সেখানে কোনো এমবিবিএস ডাক্তারই নেই। অপারেশন করেছেন একজন ডিপ্লোমাধারী। পরে জটিলতা দেখা দিলে আমরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য হই।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লিনিককর্মী জানান, “অনেক ক্লিনিকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই। কেবল নামসর্বস্ব কিছু কাগজপত্র দিয়ে বছরের পর বছর চলছে এসব প্রতিষ্ঠান।
সচেতন মহলের দাবি, এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনের এই নীরবতা কি ইচ্ছাকৃত?
এখন দেখার বিষয়, রায়পুরে স্বাস্থ্যসেবাকে বাঁচাতে প্রশাসন কবে জেগে উঠবে।
Facebook Comments Box