রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ফলাফল ভালো কিছু বয়ে আনে না: গয়েশ্বর

ছবি সংগীত

 

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

 

আজ  জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

গয়েশ্বর বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করলো আরও সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখে তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্বাচতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই বাহাত্তরের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই।

 

শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাতো না বলে মনে করেন তিনি।

জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গঠন করা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

 

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারাই তো নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটা বিবৃতিতে দেওয়ার লোক নাই, স্লোগান দেওয়ার লোক নাই।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘মেট্রোরেলে আগুন ও পুলিশ হত্যার’ বক্তব্যে সমন্বয়ক হাসিবকে শোকজ

» দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» কিছুটা কমল স্বর্ণের দাম

» স্যানিটারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

» রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুনের নিন্দা রিজভীর

» ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল, সদস্য সচিব মোস্তফা

» বিএনপির ৪ মহানগর, ৬ জেলার কমিটি ঘোষণা

» ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু

» স্ত্রীসহ সাবেক মেয়র তাপসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

» সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ফলাফল ভালো কিছু বয়ে আনে না: গয়েশ্বর

ছবি সংগীত

 

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

 

আজ  জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

গয়েশ্বর বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করলো আরও সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লিখে তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্বাচতন- এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই বাহাত্তরের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই।

 

শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেনি। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাতো না বলে মনে করেন তিনি।

জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গঠন করা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

 

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় নিরঙ্কুশ করার ফলাফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারাই তো নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটা বিবৃতিতে দেওয়ার লোক নাই, স্লোগান দেওয়ার লোক নাই।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com